আরিফ উদ্দিন, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) থেকেঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ক্ষতিগ্রস্ত ৮৩ জন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ৪৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার অনুদানের চেক পেলেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে জামায়াত-শিবিরের সহিংস তান্ডবে দেশের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা এলাকার ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ির মালিক, সাংবাদিক, তহশিলদার, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী-সমর্থকসহ নানা পেশাজীবির ৮৩ জন ক্ষতিগ্রস্তদের বিপরীতে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারী সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে এ উপজেলায় জামায়াত-শিবিরের স্মরণকালের ধ্বংসাত্মক-সহিংস তান্ডব চলে। ভোট কেন্দ্র ভাঙচুর, লুটতরাজ, জ্বালাও-পোড়াও, সড়ক-মহাসড়ক কেটে যানবাহন চলাচলে বাধা ও গাছ কাটাসহ ধ্বংসাত্মক তৎপরতায় পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে গাইবান্ধা-০৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্যাপুর) নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন কমিশনের পূর্ব নির্ধারিত ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন স্থগিত করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১৬ জানুয়ারী এ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের আগে ও পরে নানা সহিংস ঘটনায় অন্ততঃ পক্ষে দু’শতাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি, দোকানপাট ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন পেশাজীবি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে সরকারের আর্থিক সাহায্য দানের নিমিত্তে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রনণয়ন করা হয়। তবে চিহিৃত অনেক ক্ষতিগ্রস্তদেরই নাম এ তালিকায় নাই। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বঞ্চিত-উপেক্ষিত ক্ষতিগ্রস্তদের নাম আগামী তালিকায় অন্তর্ভূক্ত থাকছে কি-না? এ নিয়ে ভূক্তভোগীদের মাঝে নানা সংশয়সহ ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের ধ্বংসাত্মক তৎপরতায় এ উপজেলায় পর্যায়ক্রমে লুটতরাজ, জ্বালাও-পোড়াও, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি নির্যাতন, আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী ও সমর্থক, সাংবাদিক এবং তহশিলদারসহ ৮৩ জনের মধ্যে ন্যূনতম ১০ হাজার-সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত ৪৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ হয়। গত কয়েক দিন ধরে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে পর্যায়ক্রমে চেক বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম মাজহারুল ইসলাম। এদিকে, এ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে ন্যূনতম ১৫ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত মোট ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক ইতোমধ্যেই বিতরণ করা হয়েছে।