পেঁয়াজ রসুন বেগুনের দাম বেড়েছে

morih_pej_sm_175076289ঢাকা: রোজার মধ্যে বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও বেগুনের দাম। তবে স্থিতিশীল রয়েছে ভোজ্যতেলের দাম।

শুক্রবার নগরীর প্রতিটি কাঁচাবাজারে ভারতীয় নাসিক পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৪৮ ও দেশি পেঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৬-৭ টাকা করে।

একই অবস্থা রসুনের ক্ষেত্রেও। উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারে প্রতিকেজি চায়না রসুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি রসুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজিতে দাম বেড়েছে গড়ে ১০ টাকা করে।

শ্যামবাজারে পাইকারীতেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। শুক্রবার শ্যামবাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ২৯ থেকে ৩১ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অপরদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এবং পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শ্যামবাজার রাজ্জাক ভান্ডারের মালিক হাজী আব্দুর রাজ্জাক  জানান, রমজানে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়তি। তবে সামনে চায়না ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ আমদানি করা হবে এতে করে পেঁয়াজের দাম কমবে। তিনি জানান, এখন প্রতিকেজি পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারে প্রতিকেজি বেগুন ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক সপ্তাহ আগে নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে প্রতিকেজি বেগুন ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি বেগুনে বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।

অন্যান্য সবজরি দাম বাড়তি। প্রতিকেজি পটল ৫০, ঢেড়স ৬০, করলা ৬০, উস্তে ৮০, কচুর লতি ৫০, শিম ১৬০, দেশি শসা ৮০, আমদানিনির্ভর শসা ৬৫, পেঁপে ৩০, টমেটো ১০০, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি আলুতে ২ টাকা বেড়ে ২৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম জানান, সব সবজির দাম বাড়েনি। কিছু সবজির দাম বাড়তি, কিছু সবজির দাম কমতি।

শুক্রবার চাহিদা বেশি থাকায় কারওয়ান বাজারে সব সবজির দাম বাড়তি। যে কারণে আমাদেরও বাড়তি দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজারের ব্যবধানে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গুলশান কাঁচাবাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার ১৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের ব্যবধানে দাম বাড়া প্রসঙ্গে গুলশান কাঁচাবাজারের ব্রয়লার বিক্রেতা আজিজ , বাড্ডার ব্যবসায়ীরা স্কেলের ওজনে ব্রয়লার বিক্রি করেন। কিন্তু আমরা দাঁড়িপাল্লার ওজনে ব্রয়লার বিক্রি করি। আমাদের ওজন সঠিক তাই দামও একটু বেশি। কিন্তু যারা স্কেলের ওজনে ব্রয়লার বিক্রি করেন তারা ওজনে কেজিতে ১০০ গ্রাম কম দেন।

মাংস বিক্রেতারা সিটি কর্পোরেশনের বেঁধে দেওয়া দর মানছেন না। নগরীর অধিকাংশ দোকানে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ সিটি কর্পোরেশন প্রতিকেজি গরুর মাংসের দাম বেঁধে দিয়েছে ২৮০ টাকা। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে খাসী ও ছাগলের মাংসের দাম। প্রতিকেজি খাসী ৫০০ ও ছাগলের মাংস ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নদ্দা কাঁচাবাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি মাছের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখানে প্রতিকেজি মাঝারি রুই ৩০০ থেকে ৩৫০, কাতল ৩০০, বোয়াল ৩৫০, মাঝারি গলদা ১০০০, পাঙ্গাস ১৩০, মাঝারি তেলাপিয়া ১৫০, বড় আকারের তেলাপিয়া ২০০, মাগুর ৭০০, শিং ৬০০ ও পলি মাছ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নদ্দা কাঁচাবাজারের মাছ বিক্রেতা উজ্জল ‘সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি মাছের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে বেড়েছে। রমজানের কারণে মাছের দাম বাড়তি।’

অন্যদিকে ছোলার দামও বাড়তি। প্রতিকেজি ছোলা ২ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে চিনির দাম কমেছে। প্রতিকেজি খোলা চিনি ৪৬ এবং প্যাকেটজাত চিনি ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্থিতিশীল আছে সয়াবিন তেলের দাম। প্রতিলিটার সয়াবিন তেল ১১৫ টাকা এবং কোম্পানি ভেদে ৫ লিটার বোতলাতজাত সয়াবিন তেল ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *