১৬ জুলাই বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস। বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সুধা সদনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। বেলা ১২টায় ঢাবির টিএসসি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিম।
এর আগে বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে এক সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এর সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সভাপতি তারানা হালিম।
২০০৭ সালের এই দিনে গ্রেপ্তারের আগে শেখ হাসিনার নামে একাধিক মামলা দেওয়া হয়। গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে তৎকালীন ভীতসন্ত্রস্ত পরিস্থিতির মুখেও দলের নিবেদিত কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। আদালত প্রাঙ্গণে প্রিয় নেত্রীকে একনজর দেখতে সমবেত হন হাজারো কর্মী-সমর্থক। গ্রেপ্তারের পর শেখ হাসিনাকে বন্দি রাখা হয় জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে বিশেষ কারাগারে।
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ধাপে ধাপে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। তার মুক্তির দাবিতে দেশে-বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। প্রায় ১১ মাস অতিবাহিত হলে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী তাকে যুক্তরাষ্ট্র চিকিৎসার দাবি জানান।
উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে কারাবন্দি শেখ হাসিনাকে ২০০৮ সালের ১১ জুন আট সপ্তাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। সেখানে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কান ও চোখের চিকিৎসা নেন তিনি। দেশে ফেরার পর স্থায়ীভাবে মুক্তি পান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি মহাজোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে এ বছরের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জয় পেয়ে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে সরকার পরিচালনা করছেন শেখ হাসিনা।