তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, একাত্তর, পঁচাত্তর এবং ২১শে
আগস্ট গ্রেনেড হামলার তিন জঘন্য খুনীদের নিয়ে ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত করছেন
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ঐ তিন খুনীদের নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায়
গেলে দেশে খুনের রাজত্ব কায়েম হবে, দেশে রক্তের নহর বয়ে যাবে। দেশের জনগণ তা
হতে দেবে না এবং জাসদ তা প্রতিরোধ করবে, বলেন মন্ত্রী।
আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের জাসদ কার্যালয়ে দলের ঢাকা বিভাগীয় প্রতিনিধি
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাকে
গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা বলে উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি নেত্রী
খালেদা জিয়া এই জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার সবচেয়ে বড় লালনকারী ও খুনীদের
পৃষ্ঠপোষক। ইনু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া মুখে বাংলাদেশের কথা বললেও অন্তরে
পাকিস্তানী, মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও অন্তরে চক্রান্তকারী, জঙ্গিবাদী ও
সাম্প্রদায়িক। সে কারণেই সাংবিধানিক পথ পরিহার করে নির্বাচনের পথ ত্যাগ করে
তিনি দেশকে সংবিধানের বাইরে ছুঁড়ে ফেলতে নাশকতা-অন্তর্ঘাতের আশ্রয় নিয়েছিলেন।
গতকাল সোমবার একটি ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া
তথ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করার জবাবে মন্ত্রী বলেন, জাসদ সবসময় প্রকাশ্য রাজনীতি
করেছে, কখনও কোন চক্রান্তের পথ বেছে নেয়নি। জাসদ গণবাহিনী করেছে, প্রকাশ্যেই
করেছে, বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার দোসর ও যুদ্ধপরাধীরা একাত্তরে যাদের খুন
করেছে, পঁচাত্তরে যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, খালেদা জিয়ার স্বামী যাদেরকে খুন করে
ক্যান্টনমেন্টকে কসাইখানা বানিয়েছিল, তাদের সবার তালিকা আমাদের কাছে আছে। সেই
তালিকা অনুযায়ীই এখন আদালতে বিচার চলছে, বলেন তিনি। দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে মন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আপনি কাউকে খুনী বললে নিহতদের তালিকা দিন।।
হাসানুল হক ইনু বলেন, খালেদা জিয়া জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও মিথ্যাচারের
রাজনীতি করতে গিয়ে নিজেই নিজেকে গণতন্ত্রের রাজনীতি থেকে মাইনাসের পথে নিয়ে
গেছেন। জনগণ পাকিস্তানকে বিদায় জানিয়েছে, সামরিক শাসকদের বিদায় জানিয়েছে,
মিথ্যাচারের রাজনীতি পরিহার না করলে বেগম খালেদা জিয়াকেও বিদায় জানাতে দ্বিধা
করবে না, বলেন তিনি।
জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মীর হোসেন আকতারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের
মধ্যে বক্তৃতা করেন জাসদ নেত্রী শিরীন আখতার এমপি, নাজমুল হক প্রধান এমপি,
সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, জাসদ নেতা নুরুল আখতার, শফিউদ্দিন মোল্লা,
শহিদুল ইসলাম, মোঃ নুরুন্নবী, এম এস আলম, মাইদুর রহমান, ইদ্রিস আলী প্রমূখ।