সিলেট নগরী থেকে অপহরণের দুই দিন পর মদনমোহন কলেজের ছাত্রী নাসরিন আক্তারকে বিয়ানীবাজার থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের দাসউরা গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করে মহানগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অপহৃত তরুণীকে রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে স্থানীয় তিলপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। চেয়ারম্যানকে পুরো বিষয়টি অবহিত করার পর পুলিশ তাকে রাত দেড়টার দিকে তাকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর দাড়িয়া পাড়ার মেঘনা বি-৩০ বাসার সামনে থেকে নাসরিনকে অপহরণ করা হয়। তিনি মদনমোহন কলেজের একাউন্টিং বিভাগের ছাত্রী।
উদ্ধারকৃত ভিকটিম নাসরিন আক্তার জানায়, একই বাসার ভাড়াটিয়া কামরুজ্জামান বাবুসহ চার জন যুবক তাকে অপহরণ করে নেয়। গাড়িতে উঠানোর পর অন্যদুর্বৃত্তরা তার মুখে স্কচটেপ সেটে দেয়। যে কারণে তিনি চিৎকার দিতে পারেননি। তারা তার চোখও বেঁধে ফেলে।
নাসরিন আক্তার বলেন, ‘আমাকে নিয়ে যে বাড়িতে রাখা হয়েছিল, ওখান থেকে রাতে স্থানাস্তরের চেষ্টা করে কামরুজ্জামান বাবুসহ অপহরণকারীরা। ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাদের মিনতি করি এবং আমার ভাইয়ের সাথে কথা বলিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই।
একপর্যায়ে আমি যে বাড়িতে ছিলাম, ওই বাড়ি থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এলাকায় পুলিশ অভিযানে এসেছে জানতে পেরে তারা আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে রাস্তার পাশে রেখে চলে যায়। পরে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে।
এসআই শাহ মো. মোবাশ্বির বলেন, অপহরণের ঘটনায় জড়িত আফজল হোসেনকে সন্ধ্যায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকা থেকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে বিয়ানীবাজার থেকে ভিকটিম নাসরিনকে উদ্ধার করা হয়।