দেশে বিরাজমান সংকটের মধ্যই বিএনপি নিজেদের গোছাতে চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “গতকাল (শুক্রবার) ঢাকা মহানগরীর কমিটি দেওয়া হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি মির্জা আব্বাস-সোহেলের বলিষ্ট নেতৃত্বেই ঢাকা মহানগরীরতে বিএনপি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হবে।”
শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে হোটেল ভিক্টরিতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “নতুন আহ্বায়ক কমিটি দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ব্যবস্থা করতে পারবে বলে আমি মনে করি। তাই আগামী অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ ঢাকাসহ সারা দেশের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে জাতীয় কাউন্সিল হবে। সেখান থেকে রাজনীতি নতুন মাত্রা পাবে।”
দেশের গণতন্ত্র সবচেয়ে ভঙ্গুর অবস্থার রয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির এ ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
তিনি বলেন, “বিগত বছরগুলোতে পর্যায়ক্রমে গণতন্ত্রকে আঘাত করা হয়েছে। গণতন্ত্র নসাৎ করে দিয়ে ব্যক্তিগত ও দলীয় ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “গণতন্ত্রেন চর্চা থাকলে সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। এক সময় আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করলেও তারাই গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।”
ক্ষমতাসীনদের শাসনামলে সংখ্যালঘু জনগণের ওপর সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গণতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতার ধোঁয়াশা তুলে কাজ হাসিল করা।”
অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, “পদ্মা সেতুর কাজ এমন এক কোম্পানিকে দেয়া হয়েছে যাদের ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায় না।”
সংগঠনের আহ্বায়ক গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক জয়ন্ত কুমার, দীপেন দেওয়ান, অ্যাডভোকেট জন গোমেজ, কেন্দ্রীয় সদস্য অপর্ণা রায়, কল্যাণ ফ্রন্ট নেতা প্রিন্সিপাল সুকোমল বড়ুয়া, অ্যালবার্ট পি কস্তা অমলেন্দু দাম অপু।