বিসিবির ঘোষিত শাস্তির মওকুফ বা কমানোর জন্য আপিল করেছেন সাকিব আল হাসান। রোববার দুপুরের পর বিসিবিতে নিজে উপস্থিত হয়ে আপিল করেন তিনি। আপিলের পর তার শাস্তি মওকুফ বা কমবে কিনা তা নিয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
তবে পরবর্তী বোর্ড সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে বোর্ড সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সপ্তাহ তিনেক আগে সিপিএল খেলতে দেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু তিনি অফিসিয়াল এনওসি নিয়ে যাননি। এতে সাকিবের উপর নাখোশ হয়ে তাকে দেশে ফিরতে বলে বোর্ড।
সাকিব জানান, তিনি লেখিত এনওসি না নিলেও মৌখিকভাবে অনুমতি নিয়েছিলেন বোর্ড পরিচালক আকরাম খানের। কিন্তু আকরাম খান এটি অস্বীকার করেন। পরে বিপদ বাড়ে সাকিবের।
এর আগে ভারত সিরিজে ম্যাচ চলাকালিন ড্রেসিংরুম থেকে বের হয়েছিলেন সাকিব। ভিআইপি গ্যালারি থেকে তার স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ শুনে বের হয়েছিলেন তিনি। এ নিয়েও সমালোনার শিকার হন দেশের সেরা এই তারকা।
সব মিলিয়ে সাকিবের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ জমা হয়ে গিয়েছিলো। এ জন্যই হয়তো তাকে একটু বেশিই শাস্তি দিয়ে ফেলছিলো বোর্ড। সাকবিকে ছয় মাসের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এবং ১৮ মাসের জন্য দেশের বাইরের লিগে খেলার উপার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
আজ আপিল করার পর সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেন সাকিব। তিনি বলেন, “আমি অনূর্ধ্ব-১৫ দল থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে লোগো সম্বলিত পোশাক পরে খেলছি। আমার কাছে দেশের জন্য খেলাটাই বড়। আমি দেশের হয়ে যতোদিন সম্ভব খেলে যেতে চাই।”
নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করেন সাকিব। তিনি বলেন, “আমার আচরণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দুঃখিত। সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। বিশেষ করে জাতীয় দলের ক্রিকেটার, দলের সাথে সংশ্লিষ্ট মহল এবং সমর্থকদের কাছে দোয়া চাইছি আমি।”
একই সাথে সাকিব ভবিষ্যতে কোনো রকম আপত্তিকর আচরণ করবেন না বলেও দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দেন।
আপিলের পর তার শাস্তি মওকুফ বা কমবে কিনা তা নিয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। আগামী বোর্ড সভায় সাকিবের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এর আগেও তার বিষয়ে জরুরী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে বোর্ড।