স্বদেশ নিউজ ২৪ ডটকম॥ শেরপুর ( বগুড়া) প্রতিনিধি ॥
বগুড়ার শেরপুরে শ্বশুড় বাড়ীতে বেড়াতে এসে লাশ হয়ে ফিরলো জামাই নুর ইসলাম। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আঁশগ্রামে। এলাকাবাসি ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত ২৯ জুলাই সিরাজগঞ্জের সিয়ালকোল ইউয়িনের সেলেন্দা গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে নুর ইসলাম উক্ত গ্রামে স্বশুর জমির উদ্দিনের বাড়ীতে ঈদে বেড়াতে এসে স্ত্রী যুথির সাথে রাতে ঝগড়া হয়। এই ঘটনায় শ্বশুড় তার জামাই নুর ইসলাম কে জানিয়ে দেন মেয়েকে জামাইবাড়ীতে পাঠাবেনা। পর দিন ৩০ জুলাই সকাল সাড়ে দশটার দিকে সবার অজান্তে জমিতে দেওয়া বিষ পান করে যুথী। বাড়ীর লোকেরা জানতে পেরে ভবানীপুরের স্থানীয় ডাঃ শুরেশ চৌহানকে দিয়ে চিকিৎসা করা অবস্থায় জামাই ও কিটনাশক পান করেছে বলে তারা জানতে পায়। পরে স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শে স্বামী স্ত্রী দুজনকে প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রাএ ভর্তি করা হয়। তাদের অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তাররা বগুড়া সজিমেক হাসপাতালে রেফার্ড করে। স্বশুর জমির উদ্দিন সিএনজি অটোরিকক্সা যোগে বগুড়ায় নিয়ে যাবার পথে নয়মাইল এলাকায় জামাই মারা গেলে তারা গ্রামের বাড়ীতে চলে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে শেরপুর থানার এস আই সিরাজুল ইসলাম লাশটি থানায় নিয়ে এসে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ায় পাঠান। তিনি জানান, লাশ মর্গে পাঠিয়ে পাঠিয়েছি রিপোর্ট পেলেই রহস্য বেরিয়ে পড়বে। এদিকে বিষ খেয়ে বেঁচে যাওয়া যুথি জানান, আমি একদিন আগেই ভবানীপুর বাজার সারের দোকান থেকে জমিতে বিষ দেবার কথা বলে ২০ টাকা দামের একটি দানাদার প্যাকেট কিনে নিয়ে বাড়ীতে রেখে দিয়েছিলাম। নিহতের ফুপাত বোন যুই পুলিশের নিকট জানায়, নুর ইসলাম একজন রাজ মিস্ত্রি। সে অনেক পুর্ব থেকে নেশা করে, তবে তার স্ত্রীকে খুব ভাল বাসে। নিহতের বাবা সিরাজগঞ্জের কুদ্দুস মিয়া জানান, আমার ছেলেকে তারা মেরে ফেলেছে কিনা ময়না তদন্তের রিপোর্ট বের হলে জানা যাবে। তখন অবস্থা বুঝে মামলা করব।