বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের ভারতে বসবাসের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে তাকে ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস করার ভিসা প্রদান করার দাবি জানিয়েছেন ভারতের প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন ও সাবেক বিচারপতি মারকান্ডে কাটজু। এক বিবৃতিতে কাটজু বলেন, তিনি পত্রপত্রিকার খবরে জেনেছেন তসলিমা নাসরিনের ভিসার মেয়াদ মাত্র ২ মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমার মতে তাকে ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ভিসা দেয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি কাটজু বলেন, ‘লজ্জা’ উপন্যাসটি লেখার পর থেকেই কিছু গোঁড়া ও ধর্মান্ধরা তাকে হেনস্তা করে আসছে। আমি সেই বইটি পড়েছি। এখানে কেবল ভারতে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের বর্ণনা আছে। এখানে ইসলামের বিরুদ্ধে কিছুই ছিল না। এক টুইট বার্তায় কাটজু আরও বলেন, তসলিমা নাসরিনকে ধর্মান্ধরা বছরের পর বছর অনেক হেনস্থা করেছে। মুসলিম ভোটব্যাংক ধ্বংসের আশঙ্কায় সেসব সহ্য করা হয়েছে। সময় এসেছে এসব বন্ধ করার। ১৯৯৪ সাল থেকে দেশের বাইরে থাকা তসলিমা নাসরিনকে ভারতের সরকার এক বছর মেয়াদি ভিসা দিতে অস্বীকার করে। এর পরিবর্তে দু’মাসের ভিসা প্রদান করে। তিনি বসবাসের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় তাকে তার চাহিদা মোতাবেক ভিসাই দিয়েছে কিন্তু দু’মাসের জন্য। ভারতীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে হতাশ তসলিমা নাসরিন নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টকে বেছে নিয়েছেন প্রতিক্রিয়া প্রকাশের জন্য। তিনি এই সিদ্ধান্তকে ‘কল্পনাতীত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ভারতীয় সরকার ২০০৪ সাল থেকে প্রাপ্ত আমার স্থায়ী বসবাসের অনুমতি বাতিল করেছে। পরিবর্তে ২ মাসের অস্থায়ী একটি ট্যুরিস্ট ভিসা প্রদান করেছে। এটি আমার চিন্তারও বাইরে! উল্লেখ্য তসলিমা নাসরিন এখন সুইডেনের নাগরিক। ১৯৯৪ সাল থেকে দেশের বাইরে চলে আসার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ভারতে বসবাস করে আসছিলেন। তবে তিনি বহুবার ভারতে বিশেষ করে কলকাতায় স্থায়ীভাবে বসবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করে আসছিলেন।