বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল বলেছেন, আন্দোলনের নামে জানমালের ক্ষতি, গাড়িতে আগুন, বোমা মেরে মানুষকে হত্যার মতো সহিংস আন্দোলন করলে প্রশাসন বসে থাকবে না। সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এ ধরনের কৃতকর্মের জন্য সংশ্লিষ্টদের শাস্তিভোগ করতে হবে। শাস্তি কঠোর থেকে কঠোরতর হবে। সহিংস আন্দোলনের চেষ্টা করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বেশি দেরি হবে না। প্রসঙ্গত ‘নিরপেক্ষ’ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঈদের পর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে বিএনপি। আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিএনপি আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে। বিএনপির একজন বলছেন, তারা কুচকাওয়াজ করবেন। আরেকজন বলেছেন, যুদ্ধ করবেন। কুচকাওয়াজ করেন, বাঁশি বাজান আর ঢোল বাজান, ঘরে বসে বাজান। কেউ বাধা দেবে না। তিনি বলেন, কাদের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। দেশের সঙ্গে না-কি দেশের জনগণের সঙ্গে? দেশের জনগণ এখন শান্তিতে আছে। তারা আন্দোলন চায় না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং কাকে ভয় দেখাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ আন্দোলন করতে করতে এখানে এসেছে। তাই ভয় দেখাবেন না। যারা এ ধরনের আন্দোলনের ডাক দেবেন তাদের দায় নিতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। এ দিনে বিএনপি নেত্রী আনন্দ করেন, ফুর্তি করেন। তার রুচিতে কিভাবে আসে সেটা তিনিই জানেন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমি ঢাকার একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে কার কি ভূমিকা ছিল, কে কোথায় ছিল, কে কোথায় লুকিয়ে ছিল, কাকে কোথা থেকে বের করে আনা হয়েছে- তার সবই জানি। ‘বাংলাদেশ দেশরত্ন পরিষদ’ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, নিজের কর্মীদের মার খাওয়ার ভয়ে বিএনপি আন্দোলনের কথা বলেছেন। আগে নিজেদের ঘর সামলান। নিজেরা মারামারি করে ঘরে তালা মারেন। কমিটি ঘোষণার পর দেখছেন না কি হচ্ছে আপনাদের ঘরে? ঘর সামলিয়ে তারপর আন্দোলনের কথা বলেন। সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে কামরুল বলেন, অনেকে অনেক কথা বলেন, সংলাপের কথা বলেন। কিসের সংলাপ? দেশে কি কোন রাজনৈতিক সঙ্কট আছে? দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে এ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। তার আগে সংলাপ নয়। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দেশরত্ন পরিষদের সভাপতি চিত্ত রঞ্জন সাহা, মনোরঞ্জন ঘোষাল প্রমুখ।