বরিশাল-পিরোজপুর-খুলনা মহাসড়ক ও স্বরূপকাঠি-কাউখালী-পিরোজপুর সড়কের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভাঙাচোড়া রাস্তার পাশাপাশি দুর্ভোগ বেড়েছে ফেরি পারাপারে। জোড়াতালি দেয়া দু’টি প্রায় অকেজো ফেরি দিয়ে চলছে ফেরি সার্ভিস। ওই দু’টি সড়কের কাউখালী উপজেলায় রয়েছে ২টি ফেরি সার্ভিস। বেকুটিয়ার কঁচা নদীতে এবং আমড়াজুরির সন্ধা (গাবখান চ্যানেলের পশ্চিম মুখে) দু’টি ফেরি রয়েছে। ব্যস্ততম ওই সড়কের দু’টি নদীতে একটি করে ফেরি দিয়ে চলছে পারাপার। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায়ই বন্ধ হয়ে যায় চলাচল।
জানা যায়, বেকুটিয়া ও আমড়াজুরি ঘাটে একাধিক ফেরি বাঁধা থাকলেও দুই ঘাটে মাত্র দু’টি ফেরি নাম মাত্র চালু রয়েছে। ইদের ছুটিতে কাউখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলা উপজেলা এবং গ্রাম-গঞ্জে প্রতিবছরের মতো এ বছরও হাজার হাজার মানুষ প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে বানের মতো ছুটছেন। এসব ঘরমুখো মানুষ ঢাকা, খুলনা, সিলেট ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বিভাগ ও শহর থেকে উপকূলে পাড়ি জমাবেন সড়ক ও নৌপথে। কিন্তু পিরোজপুর জেলায় সড়কপথে প্রবেশ এবং বাহির থেকে অন্তত যে ২টি ফেরি সার্ভিস রয়েছে, তা ত্রুটিপূর্ণ, পুরাতন। কখনও একটি আবার কখনও দুটি ইঞ্জিনের সাহায্যে চলাচল করলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাঝ নদীতে বন্ধ হয়ে ভাসতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ফলে বাসযাত্রীদের পড়তে হয় মহাবিপাকে। উল্লেখ্য, বরিশাল-পিরোজপুর-খুলনা মহাসড়কের বেকুটিয়ার ফেরিঘাট ব্যস্ততম ঘাট। বরিশাল থেকে পশ্চিমাঞ্চলের ১৮টি রুটে যানবাহন চলাচল করে থাকে। আধা ঘণ্টা পর পর ফেরি চলাচল করে বলে ফেরি ঘাটের লোকজন জানান। ওই ঘাটে আরও দুটি ফেরি থাকলেও দীর্ঘদিন সেগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকার ফলে ফেরি দুটি মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে।
অন্যদিকে জেলার সঙ্গে স্বরূপকাঠী ও কাউখালী উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়কের দুই উপজেলার মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত সুগন্ধা নদীর ওপর আমরাঝুড়ি ফেরির অবস্থাও তথৈবচ ও শীর্ণকায়। যে কোন মুহূর্তে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে দু’পাড়ের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। পিরোজপুর সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জানান, ফেরি দেখভালের দায়িত্ব বরিশাল ফেরি বিভাগের। ফেরির এ সমস্যা নিয়ে একাধিকবার তাদের চিঠি দেয়া হয়েছে, কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তিনি আরও জানান, বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তবেই হয়তো তাদের টনক নড়বে।