আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্থাপিত একটি পান হাটের টোল আদায়ের কর্তৃত্বকে কেন্দ্র করে সুলতান-ময়েন গ্র“পের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরের ছোট শিমুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিন জানা যায়, পলাশবাড়ী ও হোসেনপুর ইউনিয়নের মহদীপুর, হিজলগাড়ী, জগরজানি, সিধনগ্রাম, ঝাপড়, রামচন্দ্রপুর, কৃষ্ণপুর, শিমুলিয়া, আন্দুয়া ও দিঘলকান্দি গ্রামের পান চাষীদের পান বাজারজাত করণের সুবিধার্থে ছোট শিমুলতলা এলাকাবাসীর উদ্যোগে গত দেড় বছর আগে পলাশবাড়ী-ঘোড়াঘাট সড়সক ঘেষে ওই গ্রামের একটি পান হাট লাগানো হয়। অপরের নিকট ভাড়া নেয়া জায়গায় রোববার ব্যাতিত সপ্তাহে প্রতিদিনই হাটটি বসে থাকে। পরিচালনার জন্য সুলতান মেম্বারকে সভাপতি ও আবুল কালাম আজাদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এর পর থেকেই ক্রমান্বয়ে হাটটিতে এলাকাবাসী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারী ক্রেতারা পান কিনতে আসে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাটটিতে পান কেনা-বেচা চলে থাকে। এদিকে, সদরের হিজলগাড়ী গ্রামের ময়েন মেম্বর নেতৃত্বে একটি গ্র“প গত তিন মাস আগে থেকে পান হাটের ইজারা আদায় শুরু করেন। পান হাটটির ইজারা আদায়ের কর্তৃত্ব নিয়ে সুলতান-ময়েন মেম্বারদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় গ্র“পের আহতরা হলেন, মাসুদ (৩০), ফারুক (৩০), আবু হোসেন (৪৮), রাজু (৩২), রঞ্জু (৩৮), রফিকুল (৩০), আবুল কালাম আজাদ (৬০)। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাদের ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। সম্ভাব্য রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পান হাটকে কেন্দ্র করে হিজলগাড়ী ও ছোট শিমুলতলা গ্রামবাসীর মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে উভয় গ্র“পে আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকাবাসী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ গোপাল চন্দ্র চক্রবর্তী সংঘর্ষের বিষয়টি আকম্মিক। সংঘর্ষ এড়াতে তিনি উভয় গ্র“পে প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানান।