দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারপ্রাপ্ত সুপ্রিয়া দেবীর শারীরিক অবস্থা অনেকটাই ভালো বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সোমবার দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল বেলভিউ নার্সিং হোমে তাকে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পেটের সমস্যার কারণে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ডা. সুব্রত মৈত্রের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
চিকিৎসক জানান, সুপ্রিয়া দেবীর শারীরিক অবস্থা অনেকটাই ভালোর দিকে। দু-এক দিনের মধ্যে অবস্থার উন্নতি হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
এদিকে সুপ্রিয়া দেবীকে দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
বার্মার (মিয়ানমার) মিয়িতকিনায় ১৯৩৫ সালের ৮ জানুয়ারি জন্ম নেন সুপ্রিয়া দেবী। তার বাবা বিখ্যাত আইনজীবী গোপাল চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্মায় বসবাসরত অনেক ভারতীয় ভারতে চলে আসেন। সুপ্রিয়া দেবীর পরিবার শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ কলকাতায় থেকে যান।
সুপ্রিয়া দেবী অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে দ্য নেমসেক (২০০৬), একটী নদীর নাম (২০০২), শেষ ঠিকানা (২০০০), হানিমুন (১৯৯২), ইমান কল্যাণ (১৯৮২), কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী (১৯৮১), মন নিয়ে (১৯৮১), দেবদাস (১৯৭৯), দুই পুরুষ (১৯৭৮), সন্ধ্যা রাগ (১৯৭৭), সন্ন্যাসী রাজা (১৯৭৫), যদি জানতাম (১৯৭৪), বাঘ বন্ধি খেলা (১৯৭৫), বন পলাশীর পদাবলী (১৯৭৩), চিরদিনের (১৯৬৯), চৌরঙ্গি (১৯৬৮), তিন অধ্যায় (১৯৬৮), কাল তুমি আলেয়া (১৯৬৬), শুধু একটি বছর (১৯৬৬), আপ কি পারচাহিয়্যান (১৯৬৪), দোর গগন কি চাওন মে (১৯৬৪), লাল পাত্থার (১৯৬৪), বেগানা (১৯৬৩), সূর্য শিখা (১৯৬৩), কোমল গন্ধার (১৯৬১), মধ্য রাতের তারা (১৯৬১), মেঘে ঢাকা তারা (১৯৬০), নতুন ফসল (১৯৬০), শুন বড়নারী (১৯৬০), বসু পরিবার (১৯৫২)।