শনিবার দুপুরে লঞ্চ শনাক্তকারী জাহাজ কান্ডারি-২-এর ইকো সাউন্ডারে এ সংকেত ধরা পড়ে।
মাওয়া ঘাটের অদূরে এমএল পিনাক-৬ লঞ্চটি প্রায় ৩০০ যাত্রী নিয়ে যেখানে ডুবে যায় তার ঠিক কাছাকাছি জায়গায় ওই সংকেত পাওয়া গেছে বলে দাবি লঞ্চ শনাক্তকারী জাহাজ কান্ডারি-২।
তবে এটিই পিনাক লঞ্চ কি না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি তল্লাশি অভিযানে থাকা কর্মকর্তারা।
লঞ্চডুবির পর থেকেই নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল- কোস্টগার্ড, ফায়ার ব্রিগেড, অনুসন্ধানী জাহাজ কান্ডারী-২ এবং সাইটস্ক্যান ব্যবহার করে টানা ষষ্ঠ দিনের অভিযান শেষেও সনাক্ত হয়নি মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় ডুবে যাওয়ার লঞ্চ পিনাক-৬। লঞ্চটি সনাক্তের পর উদ্ধার অভিযান শুরুর জন্য তৈরি আছে জাহাজ রুস্তম ও নির্ভীক।
এর মধ্যেই শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরের অনুসন্ধানকারী নৌযান কাণ্ডারি-২ এর যন্ত্রে নদীর নিচে মনে করা হচ্ছে ধাতব বস্তুর অবস্থান ধরা পড়েছে।
অনুসন্ধানকারী নৌযান কাণ্ডারি-২ এর ইনচার্জ ক্যাপ্টেন মঞ্জুরুল করিম চৌধুরী বলেন, “পিনাক-৬ ডুবে যাওয়ার কাছাকাছি ১ কিলোমিটার ভাটিতে ধাতব কিছুর খোঁজ পাওয়া গেছে। এটি স্রোতের সঙ্গে সরে যাচ্ছে। ধাতব বস্তুর অবস্থান ধরা পড়ার পরই ডুবুরি নামিয়ে বস্তুটি সনাক্তের চেষ্টা চলছে।”
উদ্ধার অভিযান নিয়ে নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনের ক্ষোভের প্রেক্ষাপটে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা খন্দকার বলেন, “ডুবে যাওয়া লঞ্চের সন্ধানে চেষ্টার কোনো ত্রুটি হচ্ছে না।”
এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে ৪২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো শতাধিক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।