২০১১ সালের ১৩ আগস্ট এক সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে মারা যান খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ। তাকে বহনকারী দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসটি (ঢাকা মেট্রো চ-১৩-০৩০২) নিয়ে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কাছে ভিসি চত্বরে ভাস্কর্য স্থাপন করা হচ্ছে। ২৬ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হবে। ওইদিন থেকেই এটি সাধারণ মানুষ দেখতে পারবে।
তারেক মাসুদের সহধর্মিণী ক্যাথরিন মাসুদ দেশে ফিরেছেন ৭ আগস্ট। ভাস্কর্যটি নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রায়ই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন অনেকে। তাই নতুন প্রজন্মের মধ্যে নিরাপদ সড়ক চাই বক্তব্য ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এটি তৈরি হচ্ছে। এরই মধ্যে ভাস্কর্যের জন্য জায়গাও বরাদ্দ দিয়েছেন ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মাইক্রোবাসটির ওপর প্রলেপ দিয়ে ভাস্কর্যটি সাজানো হচ্ছে। কাজটি তত্ত্বাবধান করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক শিল্পী ঢালী আল মামুন। ল্যান্ডস্কেপ সাজাচ্ছেন স্থপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ। ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ওই মাইক্রোবাসে তারেক মাসুদের সহযাত্রী ছিলেন তিনিও। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ঢালী।
নিজের নতুন চলচ্চিত্র ‘কাগজের ফুল’-এর দৃশ্যধারণের স্থান নির্বাচন করতে ওইদিন মানিকগঞ্জে গিয়েছিলেন তারেক মাসুদ। ফেরার পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের জোকায় বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির একটি বাসের সঙ্গে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তারেক মাসুদের পাশাপাশি চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীরসহ আরও তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
* (ওপরের ছবিতে) দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসটি