ঢাকা: রমজান মাসে মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজি, ফল, মসলা, মুড়ি, দুধজাতীয় দ্রব্যাদি ও অন্য খাদ্যসামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে জুলাই মাসের মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, রমজান ও ঈদের মাস হওয়ায় পণ্যের দাম একটু বাড়বেই। এ মাসে মানুষ মনের আনন্দে খরচ করে। যার কারণে নিত্যপণ্যের দামও বেড়ে যায়।
তিনি জানান, জুলাই মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ যা জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ৭ দশমিক ৯৪ ও ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, যা জুন মাসে ছিল ৮ শতাংশ ও ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
মন্ত্রী আরও জানান, তবে গ্রামীণ পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ, যা জুন মাসে ছিল শতকরা ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। গ্রামীণ পর্যায়ে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। জুলাই মাসে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল শতকরা ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ, যা জুন মাসে ছিল ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ ও ৫ দশমিক ১২ শতাংশ।
অপরদিকে শহর পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৭ দশমিক ৪২ ভাগ।
জুলাই মাসে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ৮ দশমিক ৩১ ও ৬ দশমিক ১০ শতাংশ, যা জুন মাসে ছিল ৮ দশমিক ৮৭ ও ৫ দশমিক ৯১ ভাগ।