ঢাকা: অবশেষে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার সকালে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প বিদেশি অর্থায়নে (জাইকা) ২৮ হাজার ৯৩৯ কোটি , সরকারি খাত থেকে ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৬৬ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২ হাজার ১১৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা মেটানো হবে।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, একনেক সভায় মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক প্রকল্পসহ মোট পাঁচটি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। পাঁচটি প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা।
মন্ত্রী জানান, মাতারবাড়িতে আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১২০০ মেগাওয়াট। ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পূর্ণ দুটি ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
প্রস্তাবিত প্রকল্পে প্রতি টন কয়লার দাম ১০ হাজার ২৫৫ টাকা ৫০ পয়সা ধরা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সম্পূর্ণভাবে আমদানিকৃত কয়লার উপর নির্ভরশীল।
প্রকল্প এলাকা হিসাবে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়ননে চিহ্নিত করা হয়েছে।
২টি বিদ্যুৎকেন্দ্রে কুলিং এবং স্টিম জেনারেশনের জন্য সমুদ্রের সারফেস ওয়াটার ব্যবহার করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ৪ হাজার ৭০০ কেজি স্ট্যান্ডার্ডের প্রয়োজনীয় পরিমাণ কয়লা আমদানি করা হবে।
প্রকল্পটিতে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্যোগে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিএল)।