1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
৭২ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা সোনার দাম আরও কমল রাজধানীতে পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বিএনপির জায়েদ খানের এফডিসিতে ফেরা হবে কিনা, জানালেন ডিপজল কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট সিনেমা হলে দেওয়া হচ্ছে টিকিটের সঙ্গে ফ্রি বিরিয়ানি ঢাকায় বড় জমায়েত করতে চায় বিএনপি ১৫ বছর পর নতুন গানে জেনস সুমন যশোরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেলের জয়লাভ গোবিন্দগঞ্জে অটোচালক দুলা হত্যার মূল আসামি আটক চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু পলাশবাড়ীতে উপজেলা নির্বাচনে অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই বিএনপি বলে বিরোধীদল দমন’ এবার বুবলী-শাকিবের ‘কোয়ালিটি টাইম’ নিয়ে মুখ খুললেন অপু

৭২ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

  • Update Time : সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৪
  • ২১৭ Time View

pahari pani briddhi_swadeshnews24পাহাড়ি ঢল ও অতিবর্ষণে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তিস্তা, সুরমা, কংশ ও নাফ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী রিপন কর্মকার জানান, গতকাল তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১০, কংশ ৭৩ ও সুরমা নদীর পানি ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে দেশের পদ্মা মেঘনা সুরমা যমুনাসহ প্রধান নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। ভারি বর্ষণ ও হঠাৎ উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে বিভিন্ন জেলায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্ষার বিদায় বেলায় হঠাৎ এই টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ১০টি গ্রাম, ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলার কমপক্ষে ১২টি গ্রাম, নীলফামারীর ৯৫টি গ্রাম, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওইসব গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে মওসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও ১-২ দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া বিভাগ সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া দেশের নদী বন্দরসমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা তথ্যকেন্দ্রে থেকে জানানো হয়, আগামী ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা এবং মেঘনা নদীসহ ঢাকা শহরসংলগ্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। ভারি বর্ষণ ও পাহাড় থেকে ধেয়ে আসা পানির তোড়ে কয়েক দিন ধরেই দ্রুত গতিতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা ও ধরলা নদীতে। বিশাল এলাকা বন্যাকবলিত হওয়ায় এসব গ্রামের কমপক্ষে এক লাখ মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, তিস্তা ও ধরলা উভয় নদীতেই পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে।
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, উত্তর জনপদের নদী ভাঙনকবলিত জেলা কুড়িগ্রামের মধ্যে অন্যতম উপজেলা চিলমারী। প্রতিদিন এ উপজেলার বসত-ভিটা, আবাদি জমিসহ অনেক কিছুই গিলে খাচ্ছে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা। ইতিমধ্যে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙনে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন এ উপজেলার অসংখ্য মানুষ। ব্রহ্মপুত্রের তীব্র ভাঙতে গত ৩ দিনে প্রায় ৬ শতাধিক বাড়িঘরসহ ৪৬ লাখ ব্যয়ে নির্মিত তিন তলা ভবন নটারকান্দি কমিউনিটি সেন্টার আশ্রয়ণ কেন্দ্র নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এসব কারণে দেশের মানচিত্রে আয়তনের দিক থেকে ছোট হয়ে আসছে এ উপজেলাটি। নদীভাঙন রোধে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত সঠিক কোন পদক্ষেপ না গ্রহণ করায় শেষ হতে বসেছে চিলমারী উপজেলার মানুষের জীবন-জীবিকা। 
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: পাহাড়ি ঢলে ও দুধকুমার নদের তীব্র ভাঙনে রক্ষা করা যাচ্ছে না সোনাহাট রেলওয়ে সেতুটির সংযোগ সড়ক। যে কোন মুহূর্তে সংযোগ সড়ক ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে সেতুটি। তীব্র ভাঙনে সেতুর পশ্চিম তীরের গাইডওয়াল ভেঙে গেছে। সংযোগ সড়কের প্রায় দু’ফুট রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকির মুখে রয়েছে সেতুর পশ্চিম তীরের পিলারটি। সংযোগ সড়ক ভেঙে গেলে নদের পূর্ব তীরের নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন, ৭টি বিজিবি ক্যাম্পসহ সোনাহাট স্থলবন্দর উপজেলা সদরের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। রাস্তা ও সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন ভারি যান চলাচল বন্ধ রেখেছে।
চাঁপাই নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালডুবি এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে হুমকির মধ্যে পড়েছে ১৫ কোটি টাকায় ব্যয়ে সদ্যনির্মিত তীর সংরক্ষণ প্রকল্প। পাশাপাশি বসতভিটা, ফসলি জমি ও আম বাগান হারানোর আশঙ্কায় দিন কাটছে এলাকাবাসীর। এ অবস্থায় ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর।
গোলাপগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি: সুরমা-কুশিয়ারার পানি মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। বুধবারীবাজার, আমুড়া, উত্তর বাদেপাশা, শরীফগঞ্জ, ভাদেশ্বর ও ঢাকাদিক্ষন ইউনিয়নের অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি অবিরাম বৃষ্টির ফলে ধ্বসে পড়েছে। উত্তর বাদেপাশার কৃষকের ইরি আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।  শরীফগঞ্জের প্রায় ৭টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। বিয়ানীবাজার গোলাপগঞ্জ রাস্তার একমাত্র ফেরি (শিকপুর-বহরগ্রাম) প্রায় ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ইট ও কাঠ ফেলে পুনরায় চালু করা হয়েছে। যে কোন সময় আবারও বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 
কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি: তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় বন্যার পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গতকাল উপজেলার প্রাণনাথ চর, ঢুঁষমারা চর, গনাই চর, হয়বত খা চর, বিশ্বনাথ চর, আজম খা চরসহ কয়েকটি চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায় বন্যার পানিতে কাঁচা ঘরবাড়ির উঠানে পানি জমে আছে। এসব এলাকার আমন ক্ষেত ডুবে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। 
ফেনী প্রতিনিধি: ফুলগাজীতে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া ১২ গ্রামের বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়কের কালভার্ট ধসে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, পানিবন্দি গ্রামাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যহত রয়েছে। 
স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে ধরলা, দুধকুমর, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পানি প্রবাহ অব্যাহত থাকায় তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের শতাধিক চর ও দ্বীপচর। চরের এসব মানুষের বসতভিটায় পানি উঠায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে সদ্য রোপনকৃত ১০ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ও সবজি ক্ষেত। অপরদিকে দুধকুমার নদীর তীব্র স্রোতে সোনাহাট স্থ্থলবন্দরের সংযোগ স্থাপনকারী সোনাহাট ব্রিজের সংযোগ সড়কের একাংশ ধসে পড়ায় হুমকির মুখে পড়েছে সোনাহাট স্থলবন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তাহের জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি ৫৯ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৫১ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ১২ সেন্টিমিটার কমেছে ও নুনখাওয়া পয়েন্টে দুধকুমার নদীর পানি ৪৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে ভূরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী ও কুড়িগ্রাম সদরের ৬টি পয়েন্টে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। 
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: ছাতক উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পৌরসভাসহ উপজেলার গ্রামীণ কাঁচাঘর, সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোপা আমন ধানের চারা ও ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ইসলামপুর ইউনিয়নের রতনপুর, নোয়াকোট, ছনবাড়ি, বাহাদুরপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের লোকজন আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ছাতক-আন্ধারীগাঁও সড়কের পেপার মিল বাজার সংলগ্ন বিকল্প সড়কটি বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় সড়ক দিয়ে যানচলাচলে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বন্যার কারনে সুরমা নদীর দু’পাড়ে প্রায় ১০-১২টি স্টোনক্রাশার মিল বন্ধ হয়ে পড়েছে। পৌরসভার মণ্ডলীভোগ, ছোরাবনগর ও চরেরবন্দ এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ। 
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে: খুলনাঞ্চলের নদ-নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপশি খুলনার কয়রা ও পাইকগাছাসহ বিভিন্ন উপকূলবর্তী উপজেলায় বেড়িবাঁধও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। মওসুমে বায়ু চাপের প্রভাবে মংলা বন্দরসহ সুন্দরবন উপকূলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। এতে নদ-নদীর পানিও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে ফসলি জমি ও চিংড়ি ঘের ডুবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গভীর সমুদ্র ও সুন্দরবন সংলগ্ন নদীতে উত্তাল ঢেউয়ে টিকে থাকতে না পেরে লোকালয়ে ফিরে আসতে শুরু করেছে জেলেরা। আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে মংলা বন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে থাকা বাণিজ্যিক জাহাজ খালাস-বোঝাই কাজ ও কন্টেইনার ইয়ার্ডের কাজও গতিহীন হয়ে পড়েছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১০-১২ নম্বর পোল্ডারে পাইকগাছা উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের শিবসা নদীর ভাঙনকবলিত ওয়াপদার রাস্তা হুমকির মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে ২৫০ ফুট এলাকাজুড়ে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। সুন্দরবন ঘেঁষা উপকূলীয় জনপদ কয়রা উপজেলায় পাউবোর বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোন মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে লবণ পানিতে তলিয়ে দিতে পারে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজসহ কয়েক হাজার একর ফসলি জমি। 
নীলফামারী প্রতিনিধি: উজান থেকে নেমে আসা পানি তিস্তার দু’কূল ছাপিয়ে গ্রাস করেছে গ্রামের পর গ্রাম। চারিদেক শুধু পানি আর পানি। কোথাও দাঁড়াবার এক চিলতে জায়গা নেই। আর এর মাঝেই যেন বেঁচে থাকার নিরন্তন চেষ্টা তিস্তা পাড়ের হাজার হাজার মানুষের। তিস্তা ডান তীর বাঁধেও তিল ধারণের জায়গা নেই। মানুষ আর গবাদিপশুতে একাকার অবস্থা। প্রকৃতি যেন এক কাতারে দাঁড় করিয়ছে মানুষ আর পশুতে। তিস্তার উজান থেকে নেমে আসা পানির সাথে অবিরাম বর্ষণে দেখা দেয়া বন্যায় গত ৪ দিন থেকে তিস্তা পাড়ের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তীব্র খাদ্য সঙ্কটের সঙ্গে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। চাল-চুলো সবই বন্ধ। হাড়িতে চাল থাকলেও চুলা জ্বালাবার উপায় নেই। তাই অনাহার-অর্ধ্বাহারে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপদে বানভাসী মানুষ। নারী-শিশু ও গবাদিপশু নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে বানভাসীরা। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে তিস্তা পাড়ের হাজার হাজার পরিবার। ঘরের চাল, গাছের ডাল আর কলার ভেলাই এখন শেষ ভরসা বানভাসী মানুষের। এদিকে দুর্গতদের পাশে যেন দাঁড়াবার কেউ নেই। সরকারি-বেসরকারি কোন ত্রাণ এখনও চোখে দেখেনি দুর্গত এলাকার মানুষ। ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকেই শুকনো খাবার চিঁড়া-মুড়ি নিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা কররেও তার অপ্রতুল। অপরদিকে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে রাক্ষুসী তিস্তার পানি। গতকাল ব্যারেজ পয়েন্টে পানি কিছুটা কমলেও বিপদসীমার প্রায় ৮-১০ সে. মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানান, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান। ফলে আরও অবনতি হয়েছে তিস্তা পাড়ের বন্যা পরিস্থিতি। হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে আছে তিস্তা পাড়ের ডিমরা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি-শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের ১৫-২০টি গ্রামের ১৫-২০ হাজার মানুষ। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পচে যেতে বসেছে হাজার হাজার বিঘা জমির আমন ক্ষেত। 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com