২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘২১শে আগস্ট বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণ নাশের চেষ্টায় পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত বিচার ও ওই ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
গ্রেনেড হামলায় আহতদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যারা আহত হয়েছেন, আপনারা একটা তালিকা আমার কাছে দিবেন। আমি আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, গ্রেনেড হামলায় আহত উম্মে রাজিয়া কাজল।
স্বাধীনতা বিরোধীদের জন্য বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অধিকার থাকতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, “যারা ৭১ এ দেশের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, যারা ৭৫ বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যায় সহযোগিতা করেছে, ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থাকতে পারে না। গণতান্ত্রিক অধিকার অবশ্যই থাকবে, তা থাকবে এদেশের জনগণের জন্য।”
‘দেশে গণতন্ত্র নেই’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, “১৯৭৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত গণতান্ত্রিক পথে থাকার কারনে আমরা বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। দেশে অবশ্যই গণতন্ত্র আছে। যে গণতন্ত্র আছে তা দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য। স্বাধীনতা বিরোধীদের সুযোগ-সুবিধা দেবার জন্য কোন গণতন্ত্র থাকা উচিত নয়।”
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হাওয়া ভবন থেকেই এদেশে জঙ্গিবাদের উৎপত্তি ঘটানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “একাত্তরের পরাজিত শক্তি, ৭৫’র ঘাতক, জাতীয় চার নেতার হত্যাকারী, বিএনপি, জামায়াত ও জঙ্গিবাদ মিলে আজ একাকার। বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই হাওয়া ভবনে জঙ্গিদের নিয়ে একাধিক বৈঠক করে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উৎপত্তি ঘটানো হয়।”
তিনি আরো বলেন, “২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে হাওয়া ভবনে জঙ্গিদের সাথে বৈঠক করে এই হামলার পকিল্পনা করা হয়। আর সেই পরিকল্পনা করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান।”
তিনি বলেন, “যদি মৃত ব্যক্তিকে আসামী করা যেত তাহলে ৭৫ এর ১৫ আগস্টের ঘটনার সাথে জড়িত থাকর অভিযোগে জিয়াউর রহমান, মাহবুব আলম চাষী ও খোন্দকার মোস্তাকের নাম আসতো।”