আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধর পলাশবাড়ী মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যলয়ে তালা। ভবনটি এখন মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীদের দখলে। ইউপি পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম ব্যহতসহ চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকী প্রদর্শনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায় দু’মাস ধরে স্থানীয় কাজীর বাজারে অস্থায়ী কার্যলয়ে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদন করা হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগসহ সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাজেদার রহমান দুলুকে (৪০) স্থানীয় একটি সার্থন্বেষি কু-চক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন ভাবে নানা হয়রানী করে আসছে। গত কয়েক দিন আগে ওই চিহ্নিত মহল চেয়ারম্যানের জীবন নাশের হুমকী প্রদান করায় এলাকা বাসীর মাঝে চরম অসন্তোষসহ মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিরাজমান পরিস্থিতিতে স্বয়ং চেয়ারম্যান ছাড়াও তার পরিবারবর্গ এবং সচেতন শান্তি প্রিয় ইউনিয়ন বাসি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান মাজেদার রহমান দুলু জানান, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এলাকার রাস্তাঘাট, কালভাট নির্মাণ, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ-মন্দির ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ তথা নানা সামাজিক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে আসছেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এলাকায় সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়াও নানা মূখী সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া তিনি প্রতি ঈদ-পূজাসহ নানা ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে ব্যক্তিগত অর্থায়নে অতিদরিদ্রদের মাঝে লাখ লাখ টাকা মূল্যের শাড়ি, লুঙ্গি ও নগদ অর্থ বিতরণ করে থাকেন। তিনি সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে উন্নয়ন মূলক টিআর, কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপিসহ নানা প্রকল্প মাঠপর্যায়ের কাজ বাস্তবায়নে শুভংকরের ফাঁকিসহ লাগামহীম অনিয়ম- দুর্নিতির চিত্র দেখে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করায় অত্র ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহ্ আলম প্রধান ও শাহ জাহান চৌধুরীর প্রতিহিংসার শিকার হন। তারা চেয়ারম্যানের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য উল্লেখ করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ জুলাই ইউপি সদস্য শাহ্ আলম প্রধান ও শাহ্ জাহান চৌধুরী এলাকার চিহ্নিত পেশাদার ভারাটে সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে পরিষদ কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় কর্মরত ইউপি সচিবকে লাঞ্ছিতসহ পরিষদের প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি পত্র পুকুরে ফেলে বিনষ্ট করে ইউপি ভবনটি দখল করে নেয়। বর্তমানে ভবনটিতে সন্ধ্যা হলেই শুরু হয় মাদকের আসর। পরিষদ বন্ধ থাকলে সরকারী কার্যক্রম বন্ধহবে ভেবে ইউপি চেয়ারম্যান স্ব-উদ্যোগে স্থানীয় কাজীর বাজারে অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পাদন করে আসছেন। এ ঘটনায় গত ১২ জুলাই অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরী সভায় এসব অপকর্মের মূলহোতা ইউপি সদস্য শাহ্ আলমকে সর্বসম্মতিক্রমে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। চেয়ারম্যান জানান, এসব ঘটনার সুত্রধরেই ইউপি সদস্য শাহ্ আলম ও শাহ্ জাহান চৌধুরীর নেতৃত্বে একের পর এক সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানীসহ অব্যাহত হত্যার হুমকী প্রদান করে আসছে।