রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার গোচরের বিলে ৩০০ বিঘা জমির সবজি খেত টানা বর্ষণে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে সবজি চাষিরা হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়েছে। পানিতে সবজি খেত তলিয়ে যাওয়ায় বিপুল পরিমাণ অর্থের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে চাষীরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে বেগুন, মরিচ, মুলা, লাল শাক, কলাই, আমন ধানের খেত তলিয়ে গেছে। চয় দিন ধরে আবাদি সবজি জমি পানির নিচে তলিয়ে থাকার কারণে এলাকার কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় আছেন। আড়ানী নুরনগর-খয়েরমিল রেল লাইনের ধারে সরকারি খাল বন্ধ করে রাখার কারণে পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। ফলে ওই ফসল পানির নিচে তলিয়ে আছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পানিতে ফসল নষ্ট হয়ে যাবে।
হামিদকুড়া মহল্লার জিয়া জানান, আমি ধারদেনা করে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে এক বিঘা জমি বন্ধক নিয়েছি। ইতিমধ্যে ১০ হাজার টাকা খরচ করে ওই জমিতে মচির চাষ করেছি। দুই তরফা পানি হওয়ায় আমার সব শেষ করে দিয়েছে। যদি নুরনগর-খয়েরমিল রেল লাইনের ধারের খাল দিয়ে পানি বড়াল নদীতে বের করে না দেয়া হয়, তাহলে শতাধিক সবজি চাষি এবছর ছেলে সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।
হামিদকুড়া গ্রামের বাচ্চু জানান, দুই বিঘা জমির মরিচ চারদিন থেকে পানির নিচে। ইতিমধ্যে মচির গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। ওই গাছ পানি জমে মরে যাচ্ছে। বিয়ষটি স্থানীয় উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তারপরেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে তিনি জানান।
উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা দিলিপ কুমার সরকার জানান, টানা বর্ষণে ৩০০ বিঘা জমির সবজিসহ আমন আবাদ পানির নিচে তলিয়ে গেছে এলাকাবাসী আমাকে জানিয়েছেন। উক্ত বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
বানেশ্বরে ব্যবসায়ীর বাড়ির গেটে বোমা রেখে ১০ লাখ টাকা চাঁদাদাবী
ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী প্রতিনিধি।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে হাডওয়ার্ড ব্যবসায়ীর বাড়ীর গেটে পেট্রোল বোমা রেখে মোবাইল ফোনে ১০লাখ টাকা চাঁদাদাবী ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় বানেশ্বর বাজারের মিস্ত্রীপাড়া নামক স্থানে হাডওয়ার্ড ব্যবসায়ী শ্রী কর্তৃক কর্মকারের বাড়ীর গেটে পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে বালটির পানিতে নিস্ক্রয় করেছে পুঠিয়া থানা পুলিশ।
ব্যবসায়ী শ্রী কর্তৃক কর্মকার জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় গত মঙ্গলবার বানেশ্বর মজিদ মার্কেটের লক্ষী হাডওয়ার্ডে ব্যবসা করতে থাকি। রাত ৮.৪৫মি: সময় একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে আমার মোবাইলে(পুলিশি তদন্তের শর্তে মোবাইল নাম্বারটি প্রকাশ নিষেদ্ধ)ফোন করে আমার নাম পরিচয় নিশ্চিত হয়। এসময় আমি তার পরিচয় জানতে চাইলে সে বলে আমি বাবু সরকার বলছি, জাহানামের গলি থেকে। আমাদেরকে ১০লাখ টাকা দিতে হবে না হলে বউ-ছেলে আর বাড়ি বোমা মেরে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। পরে আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি চলে আসি। তারা রাত ৯টা ১২মি; সময় একই নাম্বারের থেকে আবারো একই হুমকি দিতে থাকে। পরে আবারো মোবাইল করতে থাকলে রিসিভ না করাই একটি মেসেজ পাঠায়। ঐ মেসেজে লেখা রয়েছে টাকা দিবা না লাশ নিবা । সকালে ঘুম থেকে ৬টা দিকে বাইরের গেট খুলে দেখি বাশ কাগজের ব্যাগের পরে আছে। পারে আমি একটি লাঠি দিয়ে দেখি লাল টেপ জড়ানো একটি বোতল। পরে থানা পুলিশ খবর দেয়া হলে পুলিশ উদ্ধার করে পানিতে নিস্ক্রয় করে থানায় নিয়ে যায়। সে আরো জানায়, তার কোন পূর্বে শুত্রু নাই, কারা এই কাজ করলো এমূহুর্তে বলা যাচ্ছে না।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পুঠিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এস, আই ডেভিড হিমাদ্রী বর্মা জানায়, আমরা খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে বোমাটি নিস্ক্রয় করে থানায় নিয়ে আসি। পুলিশি তদন্তের শর্তে হুমকিদাতার মোবাইল নাম্বারটি প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, থানায় একটি জিডি হয়েছে। আমরা আশা করি তদন্ত শেষে দূরুত্ব হুমকিদাতাদের আটক করা সম্ভাব হবে।
পুঠিয়ার মতিন হত্যা মামলার এক আসামী আটক
ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী প্রতিনিধি।
রাজশাহীর পুঠিয়ায় কলেজ ছাত্র মতিউর রহমান ওরফে মতিন (১৯) হত্যা মামলার সাথে জড়িত ৪নং আসামীকে আটক করছে পুঠিয়া থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুঠিয়ার কাপাশিয়া আকবরের ডাউল মেলে কর্মরত অবস্থায় থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এস আই ডেভিড হিমাদ্রী বর্মা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন। আটককৃত ৪নং আসমী হলেন, উপজেলার শিবপুরহাট এলাকার ধলাট কমরপুর গ্রামের আ: আহাদের ছেলে সানোয়ার(৪৫)।
উলে¬খ্য, গত বছরের ৩ জুলাই উপজেলার জাগিরপাড়া গ্রামের কলেজ ছাত্র মতিউরের অর্ধ-গলিত লাশ পাট ক্ষেত থেকে উদ্ধার করেন পুলিশ। পরেরদিন তার পিতা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং (৬) তারিখ ০৩/০৭/১৩ ইং।
০১৮৩৪২১৮৯৭০