মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এম.আই.বি) এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। দেশের অডিও ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমুহ এবং দেশের শিল্পী কলাকুশলীসহ মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের স্বার্থ রক্ষায় এবং দেশের সংস্কৃতি বিকাশে এম.আই.বি সর্বাত্মক ভুমিকা রেখে আসছে।
সাংবাদিক বন্ধুরা, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের গীতিকার, সুরকার ও পারফর্মার্স সোসাইটি (বি.এল.সি.পি.এস) নামে একটি কপিরাইট সোসাইটি আত্মপ্রকাশ করেছে। যার পরিচালনায় রয়েছেন সর্বজন শ্রদ্ধ্যেয় গুনী শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, শিল্পী হামিন আহ্মেদ এবং সুজিত মোস্তফার মত গুনী ও নন্দিত শিল্পীগণ। আমরা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ (এম.আই.বি) এর পক্ষ থেকে তাদের পরিচালনাধীন এ সংগঠণটিকে আমাদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। কিন্তুু আমরা গভীর দুঃখের সাথে এও জানাচ্ছি যে বাংলাদেশের গীতিকার, সুরকার ও পারফর্মার্স সোসাইটি (বি.এল.সি.পি.এস) এর আয়োজনে বিগত ২৫.৮.২০১৪ইং তারিখে অনুষ্ঠিত একটি সংবাদ সম্মেলন আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং ঐ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত বি এল সি পি এস এর বক্তব্যের কিছু অংশ দেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ এর স্বার্থের পরিপন্থি এবং বিদ্যমান কপিরাইট আইনের বিরুদ্ধে হওয়ায় ঐ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত বক্তব্যের আপত্তিকর অংশটুকুর প্রতিবাদে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করেছি।
বি.এল.সি.পি.এস তাদের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত বক্তব্যের একটি অংশে উল্লেখ করে ‘‘এখন থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংগীত ব্যবহারের অনুমোদন এবং রয়্যালিটি প্রদানের জন্য এই প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে” যা সম্পূর্ণভাবে দেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমুহের আইনানুগ স্বার্থের বিরোধী এবং কপিরাইট আইনের ২০০০ এর অধ্যায় ৮ এর ধারা ৪২, ৪৮ এবং কপিরাইট রুলস ২০০৬ এর বিধি ১৫ এর পরিপন্থি।
বন্ধুরা, কপিরাইট আইন ২০০০ এর ধারা ২(২৪) হতে এটি স্পষ্ট যে শব্দ রেকর্ডিং বা ফোনোগ্রাম অথবা চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে উহার প্রযোজক কর্মটির প্রণেতা এবং উক্ত আইনের ধারা ১৭ অনুসারে কোন কর্মের প্রণেতা ঐ কর্মের কপিরাইটের প্রথম স্বত্ত্বাধিকারী এবং ধারা ৪১ অনুসারে কোন কপিরাইট সমিতি শুধুমাত্র ঐ শ্রেণীর কর্মের ব্যবসা করার অধিকার রাখে যে শ্রেণীতে ঐ সমিতি নিবন্ধিত। সুতরাং বি.এল.সি.পি.এস. এর এই দাবি সম্পূর্ণ বেআইনী এবং বিধি বহির্ভূত। এছাড়া উক্ত আইনের ধারা ৪২ ও কপিরাইট বিধি ২০০৬ এর বিধি ১৫ হতে এটি স্পষ্ট যে, কোন কপিরাইট সমিতিতে কোন কপিরাইট হোল্ডারের সদস্য হওয়া তার স্বেচ্ছাধীন বিষয় এবং সংগীত ব্যবহারের অনুমোদন এবং রয়্যালিটি প্রদানের বিষয়টিও সংশ্লিষ্ট কপিরাইট হোল্ডারের একান্ত নিজস্ব।
এমতাবস্থায় বি.এল.সি.পি.এস. এর উক্ত বক্তব্যে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজের সাথে সংশ্লিষ্ট অঙ্গনে নানা প্রকার ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি হওয়ায় এই অঙ্গনের প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনভাবে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে নানা প্রকার প্রতিবন্ধকতা এবং জটিলতা তৈরি হচ্ছে এবং সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আজকের এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা বি.এল.সি.পি.এস এর উক্ত ভ্রান্ত বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে এমন ভ্রান্ত বক্তব্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্Ÿান জানাচ্ছি এবং বি.এল.সি.পি.এস কে তাদের এসকল বেআইনি বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধন্যবাদ সহকারে,
নাজমুল হক ভূঁইয়া
সভাপতি
মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এম.আই.বি)