ক্লাউডে বিনামূল্যেই পেতে পারেন ২০০ জিবি স্টোরেজ সুবিধা। তথ্য চুরি, হার্ড ড্রাইভ অচল হয়ে যাওয়া বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে ডাটা রক্ষার অন্যতম মাধ্যম ক্লাউড কম্পিউটিং সিস্টেম।
প্রয়োজনীয় তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য অনেকেই ব্যাকআপ রাখার পরিকল্পনা করেন। এক্ষেত্রে ক্লাউড অন্যতম মাধ্যম। ক্লাউড হচ্ছে কম্পিউটিংয়ের বিশেষ সার্ভিস যা বিশেষ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কম্পিউটার থেকে কম্পিউটার বা অন্যান্য যন্ত্রে কম্পিউটিং সার্ভিস হিসেবে ব্যবহার করা।
ক্লাউডে তথ্য রাখলে যেকোনো স্থানে বা ইন্টারনেট সুবিধাসম্পন্ন যন্ত্র থেকে তা ব্যবহার করা যায়। বিনামূল্যেই অনলাইনে স্টোরেজ সুবিধা দেয় এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহন করলে এর মাধ্যমে ২০০ গিগাবাইটেরও বেশি স্টোরেজ সুবিধা নিতে পারেন ব্যবহারকারীরা।
সারডকে (www.surdoc.com) সাইন আপ করার মাধ্যমে বিনামূল্যেই ১০০ জিবি জায়গা পাওয়া যায়। এর জন্য আলাদা করে কোনো অ্যাপ বা অন্য কোনোকিছু ডাউনলোড করারও দরকার পড়ে না। ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করেই এই সুবিধা নেওয়া যায়। ১০০ জিবি ডেটা স্টোরেজকে চাইলে আরও বাড়িয়ে এক টেরাবাইট পর্যন্ত করা যায়। এই সাইটটির প্রচারণা চালিয়ে বা বন্ধুকে এই সাইট ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ করে বিনামূল্যে ডেটা স্টোরেজ বাড়িয়ে নেওয়া যায়।
মেগা-৫০ জিবি (mega.co.nz) বিখ্যাত মেগা আপলোড ওয়েবসাইটের নির্মাতা কিম ডটকমের উদ্যোগ ‘মেগা’। নিরাপদে তথ্য সংরক্ষণ করতে মেগা ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যান্ড্রয়েড, ব্ল্যাকবেরি, আইওএস প্ল্যাটফর্মের পাশাপাশি ব্রাউজার থেকেও এই মেগা ব্যবহারকরা যেতে পারে। এখানে ৫০ জিবি তথ্য বিনামূল্যে সংরক্ষণ করা যায়।
এড্রাইভ-৫০ জিবি (www.adrive.com) এড্রাইভে ৫০ জিবি পর্যন্ত তথ্য বিনামূল্যে সংরক্ষণ করার সুবিধা রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপসের পাশাপাশি ওয়েব ব্রাউজার থেকেও এড্রাইভে তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।
ওয়ানড্রাইভ-১৫জিবি (onedrive.live.com) মাইক্রোসফটের ওয়ানড্রাইভ ক্লাউড স্টোরেজ আগে স্কাইড্রাইভ নামে পরিচিত ছিল। উইন্ডোজ ৮, এক্সবক্স ৩৬০তে বিল্ট ইন রয়েছে। যদি পুরোনো সংস্করণের উইন্ডোজবা ম্যাক কম্পিউটার ব্যবহার করেন তবে ওয়ানড্রাইভ ডাউনলোড করে নিতে পারেন।