গ্রামীণফোন কোম্পানির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও)সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ১০ লাখ ৬ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১নং আমলি আদালতে গতকাল মামলা দুটি দায়ের করেন। শুনানি শেষে আগামি ১৩ই অক্টোবরের মধ্যে বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ। মামলার আইনজীবীরা জানান, কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ২০০৪ সালের ২৩শে আগস্ট প্রি-পেইড মোবাইল ফোন সংযোগটি কিনে ব্যবহার করছেন। ২০০৭ সনের ১৩ই ডিসেম্বর রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করে নিজ নামে সংযোগ রেজিস্ট্রেশন করেন। পরবর্তীতে এ মোবাইল ফোনের সিমের ‘নিশ্চিন্ত’ নামের প্যাকেজটি তাঁর বিনা অনুমতিতে পরিবর্তন করে ‘বিজনেস সলিউশন প্যাকেজ-৩’-এ সক্রিয় করা হয়। এ বিষয়ে তিনি একাধিকবার গ্রামীণ ফোনের কেন্দ্রীয় কাস্টমার সার্ভিস ‘১২১’ এবং কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলাস্থ গ্রামীণ ফোনের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যোগাযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। এতে তিনি ১০ লাখ ৬ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করে কুমিল্লার ১নং যুগ্ম জেলা জজ মীর এম. তাজুল হকের দেওয়ানি আদালতে মামলা এবং প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কুমিল্লার সদর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলামের আদালতে আরও একটি মামলা করেন। মামলায় গ্রামীণ ফোন লি. কোম্পানি হওয়ায় এ কোম্পানির পক্ষে গ্রামীণ ফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিবেক সুদ, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস এবং ডাক তার ও টেলিযোগাযোগ সচিবসহ ৫ জনকে বিবাদী করা হয়। বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এভোকেট সাব্বির এ মুকীম।