আজ সংসদে উঠছে বহুল আলোচিত সংবিধান সংশোধন বিল। সংসদ অধিবেশনের আজকের কার্যসূচিতে ‘সংবিধান (ষোড়শ সংশোধন) বিল-২০১৪’ তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। বিচারপতিদের অভিশংসন ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে আনতেই সংশোধন হচ্ছে সংবিধান। আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে সংবিধান সংশোধন বিল সংসদে আনা হচ্ছে। এদিকে সংসদের বাইরে থেকে বিলটির বিরোধীতা করেছে বিএনপি। তাদের যুক্তি-বিচার বিভাগকে পরিপুর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেই বিলটি আনা হচ্ছে। এদিকে বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘বিলটি আইনে পরিণত হলে স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছে তার জবাবদিহিতা থাকা সংক্রান্ত সংবিধানের মৌলিক কাঠামো সমুন্নত থাকবে মর্মে আশা করা যায়’। এতে আরও বলা হয়েছে, ‘জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত সংসদে রাষ্ট্রের অন্যান্য অঙ্গের ন্যায় উচ্চ আদালতের বিচারকদের জবাবদিহিতার নীতি বিশ্বের অধিকারংশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিদ্যমান আছে।’এদিকে বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হলে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র এমপিরা বিরোধীতা করবেন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা বিলটির বিপক্ষে থাকবো। এমন বিল আমরা চাই না। কারণ এই বিলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হবে। বিলটিতে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলটি পাস হলে- প্রমাণিত অসদাচরণ বা অসামর্থ্যরে কারণে সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই- তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতার দ্বারা সমর্থিত সংসদের প্রস্তাবক্রমে বিচারককে অপসারিত করা যাবে। তবে কোন বিচারকের অসাদচরণ বা অসমর্থ্য সম্পর্কে তদন্ত ও প্রমাণের পদ্ধতি সংসদ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।