আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। প্রেমেম প্রতারিত ও ধর্ষিতা অতি দরিদ্র লাইলী বেগমের সন্তানের বয়স এখন তিন বছর। কিন্তু ২০১১ সালের মে মাসে দায়েরকৃত মামলার বিচারের রায় এখনও সে পায়নি। ফলে আজও এই অসহায় নারীর মাতৃত্বের আইনগত স্বীকৃতি নেই। তিন বছর বয়সের সন্তান শফিক হাসান শ্রাবণ বঞ্চিত রয়েছে পিতৃত্বের পরিচয় থেকে। আর প্রতারক ধর্ষক আলমগীর পুলিশের গ্রেফতার এড়িয়ে আরেকটি বিয়ে করে সংসার পেতে প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলা শহরের কলেজ রোড এলাকার দরিদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি ছকু মিয়ার মেয়ে লাইলী বেগমের সাথে প্রতিবেশী আকবরের ছেলে আলমগীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ২০১১ সালের ১২ এপ্রিল রাতে এলাকার লোকজন হাতেনাতে ধরে ফেলে। শালিস বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় পরের দিন যথারীতি কাজী ডেকে বিয়ে সম্পন্ন করা হবে। এই আশ্বাস দিয়ে পিতা আকবর ও ভাই জাহাঙ্গীর ধর্ষক আলমগীরকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু পরদিন বিয়ে না করেই আলমগীর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং তার পিতা ও ভাইও বিয়ের ব্যাপারে নানা তালবাহানা শুরু করে। ইতোমধ্যে লাইলী বেগম অন্ত:সত্ত্বা হয় পড়লে বাধ্য হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। যে মামলাটি এখনও বিচারাধীন। এদিকে মামলার একমাত্র আসামি আলমগীর যথারীতি আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে সংসার করছে এবং প্রকাশ্যেই লাইলী বেগম বা তার সন্ত্রানকে সে কিছুতেই মেনে নেবে না এই হুমকি দিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। অথচ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। ফলে অসহায় লাইলী বেগম তার সন্তানকে নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।