আর্জেন্টিনার আর কোন খেলোয়াড় রইলো না রিয়াল মাদ্রিদে। স্প্যানিশ এ ক্লাবে গত মওসুমে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি ছিলেন একমাত্র অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। কিন্তু এই মওসুমে তিনি ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন। এতে নতুন মওসুমে আর্জেন্টাইন কোন খেলোয়াড় ছাড়া শুরু করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সর্বশেষ ৮ বছর আগে ২০০৬ সালে এমন অবস্থা হয়েছিল রিয়ালের। আর গেল দুই দশকের মধ্যে এটি দ্বিতীয় ঘটনা। চার বছর আগেও ইউরোপের সবচেয়ে সফল দলটির শক্তির অন্যতম উৎস ছিল আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়- অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার, মিডফিল্ডার ফার্নান্দো গাগো, ডিফেন্ডার এসেকিয়েল গারায় ও স্ট্রাইকার গঞ্জালো হিগুয়েন। কিন্তু সান্তিয়াগো বার্নাব্যু এবার আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়মুক্ত। রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিষ্ঠা ১৯০২ সালে। প্রতিষ্ঠার প্রথম এক দশক ক্লাবটিতে কোন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় ছিল না। তবে এরপর আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের উপস্থিতি ছিল চোখেপড়ার মতো। ১৯১১ সালে প্রথম আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় হিসেবে দুই ভাই সাতেরো ও হোসে ইউলোহিও আরানগুরেন রিয়ালে যোগ দেন। এরপর অনেকবার আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের দক্ষতায় উপকৃত হয়েছে স্পেনের দলটি। এ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার ২৯ জন ফুটবলার রিয়ালে খেলেছেন। এরমধ্যে ডি মারিয়া ছিলেন শেষ জন। রিয়ালের ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা তারকাও একজন আর্জেন্টাইন- আলফ্রেডো ডি স্টেফানো। কিংবদন্তি স্টেফানো শুধু ফুটবলার হিসেবেই নয়, রিয়ালের কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮২-৮৪ ও ১৯৯০-৯১ দুই দফায় তিনি ক্লাবটির কোচের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া এ বছর জুলাইয়ে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত ক্লাবটির সম্মানসূচক সভাপতি ছিলেন তিনি। রিয়ালে খেলার পর দলটির কোচ হন আর্জেন্টিনার আরেক ফরোয়ার্ড হোর্হে ভালদানো। পরে তিনি রিয়ালের ক্রীড়া পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী হিসেবেও কাজ করেন। এছাড়া রিয়ালে কখনও না খেললেও দলটির কোচ হয়ে দারুণ সফল হয়েছিলেন আর্জেন্টিনার লুইস কারনিগলিয়া। ১৯৫৭ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত কোচ হিসেবে রিয়ালকে দুইবার ইউরোপ সেরার টুর্নামেন্ট জেতান। রিয়াল মাদ্রিদ এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০ বার ইউরোপ সেরার (ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে) শিরোপা জিতেছে। এর মধ্যে ৯ বারই তাদের দলে কমপক্ষে একজন হলেও আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় ছিলেন।