নিউজিল্যান্ডের ক্রিস ম্যালয় যদি তার প্রচেষ্টায় সফল হন তাহলে দ্রুতই আমরা হোভারবাইক অর্থাৎ ভাসমান যানে উড়তে পারবো আকাশে। সায়েন্স ফিকশন ছবিতে এতদিন আমরা যেমনটা দেখে আসছি সেটা হতে পারে বাস্তবে। ক্রিস ম্যালয়ের এ উড়ন্ত যান ১০ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উঠতে পারে। নতুন ধরনের এ হেলিকপ্টারকে তারা নাম দিয়েছেন কোয়াডকপ্টার। ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে একটি নমুনা। আসল যানের থেকে আকৃতিতে তিন ভাগের একভাগ। ড্রোন নিয়ে আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছে এটা ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্তু এ যান তৈরির পেছনে যারা কাজ করছেন তাদের বক্তব্য এটা মাত্র শুরু। দ্রুতই আসল আকৃতির একটি যান নিয়ে পরীক্ষা চালাতে পারবেন তা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তারা। সেখানে চালক থাকবে মানুষ। তাদের দাবি প্রচলিত হেলিকপ্টার থেকে কোয়াডকপ্টার অনেক বেশি নিরাপদ। ম্যালয় বলেন, হেলিকপ্টার থেকে হোভারবাইকের সুবিধা হলো এটা গাছপালার মধ্যেও নিরাপদে উড়তে পারে। হেলিকপ্টারের ঘূর্ণনশীল পাখাগুলোতে আঘাত লাগার ঝুঁকি থাকে। কিন্তু কোয়াডকপ্টারের নকশাতে ঘূর্ণনশীল পাখায় আঘাত লাগার সুযোগ নেই। মাটিতে বা বাতাসে কোন প্রতিবন্ধকতায় আঘাত লাগবে না প্রপেলারের পাখায়। হেলিকপ্টার সহজাতভাবেই জটিল কিন্তু হোভারবাইক সহজ। একারণে এটা নিরাপদ। এটাকে টেকসইভাবেই তৈরি করা হয়েছে যেন এমন পরিবেশে এটা উড়তে পারে যেখানে প্রচলিত হেলিকপ্টারের সাধারণত উড়তে সমস্যা হবে।