বিদ্যুৎ নেই। তাই একে একে ফেরত গেছে ফ্যান, টিউব লাইট, লাইটসহ প্রয়োজনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। বিদ্যুৎ সংযোগের বরাদ্দকৃত প্রায় ২ লাখ টাকাও উত্তোলন করা হয়েছে দু’বছর আগে। আবার বিদ্যুৎ সংযোগের নাম করে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও হাতিয়ে নেয়া হয়েছে নগদ টাকা। তার পরও মেলেনি ভেড়ামারার ১৮ কমিউনিটি ক্লিনিকে বিদ্যুৎ সংযোগ। ২০১৩ সালের প্রথম দিকে ভেড়ামারা উপজেলার ১৮ কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ১৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নির্দেশনা আসে। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয় ১৫ হাজার ২৫০ টাকা করে প্রায় ২ লাখ টাকা। ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর হেড ক্লার্ক সাবিনা ইয়াসমিন লাকি এবং তার স্বামী মুঞ্জুর আলম নিয়মবহির্ভূতভাবে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজটি বাস্তবায়ন করতে নিজেরাই লেগে পড়েন। তারা বিদ্যুৎ সংযোগের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অত্যন্ত নিম্নমানের তার, সুইচ বোর্ড ক্রয় করে দায়সারা গোছের ওয়ারিং কাজ সম্পন্ন করে পুরো টাকাই হাতিয়ে নেন। এ ছাড়া প্রতিটি কমিউনিট ক্লিনিকের কর্মকর্তার কাছ থেকে বিদ্যুতের রড এবং তার কেনার জন্য ৭২০ টাকা করে আদায় করেন। এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় এরই মধ্যে ফেরত গেছে প্রতিটি ক্লিনিকের জন্য বরাদ্দকৃত ২টি করে ফ্যান, ১টি টিউব লাইট, ৪টি লাইটসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক যন্ত্রাংশ। কমিউনিটি ক্লিনিকের ইনচার্জ এবং ভেড়ামারা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, প্রায় ২ বছর ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে না ১৩ কমিউনিটি ক্লিনিক। অথচ অনেক আগেই সমুদয় টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। হেড ক্লার্ক সাবিনা ইয়াসমিন লাকি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, এ কাজ ব্যক্তিগত। এটা করতে কোন ঠিকাদার লাগে না। আমরা নিজেরাই বিদ্যুৎ সংযোগের কাজটি করেছিলাম। প্রথম দিকে ঝামেলা হয়েছিল কিন্তু বর্তমানে কোন সমস্যা নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. রঞ্জক কুমার দত্ত জানিয়েছেন, সিএইচসিপিরা অভিযোগ দেয়ার পর আমি দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য হেড ক্লার্ককে নির্দেশ দিয়েছি।