শুক্রবার সকালে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “১৯৭২ সালের সংবিধান থেকে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা বাতিল করে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান নিজের হাতে নিয়েছিলেন। এখন বিচারপতিদের চাপের মধ্যে রাখতেই সরকার এই বিলটি এনেছে। উদ্দেশ্য একটাই- ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা।”
বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদকে ফিরিয়ে দিতে গত ৭ সেপ্টেম্বর ‘সংবিধান (ষোড়শ সংশোধন) বিল-২০১৪’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বিলটি আইন, বিচার ও সংসদ সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
সংসদে না থাকা বিএনপি শুরু থেকেই সরকারের এ উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জের স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ৭ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
সংসদে উত্থাপিত ‘সংবিধান (ষোড়শ সংশোধন) বিল-২০১৪’ এর কারণ ও উদ্দেশ্যাবলী উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, “আইনমন্ত্রী বিলে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বিচারপতিদের অভিশংসন ক্ষমতা সংসদের কাছে থেকে তুলে নিয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়ালের কাছে দিয়েছেন। সেজন্য সংসদের কাছে তা ফিরিয়ে দিতেই এই বিল আনা হয়েছে। আইন মন্ত্রী বিলে এরকম মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন।”
“বাস্তব সত্য হল- ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে মাত্র ১১ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর পিতা শেখ মুজিবুর রহমানই চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদ কাছ থেকে তুলে নিয়ে নিজের হাতে নিয়েছিলেন। গণতন্ত্রের কবর দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন।”
দেশের বর্তমান অবস্থাকে সংকটজনক অভিহিত করে তিনি বলেন, “দুর্নীতি ও লুন্ঠনে দেশ ছেয়ে গেছে। পদ্মাসেতুর দুর্নীতিবাজদের মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন পুরস্কৃত করেছে। গুম, খুন, ফাঁসির আসামিদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। এর বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে।”
সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন ও ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি সানাউল্লাহ মিয়া বক্তব্য রাখেন।