আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, “বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনে জনগণের সাড়া না পেয়ে বিদেশি প্রভুদের মাধ্যমে নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে। দেশবাসীকে এ ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হলে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের শিকড় উপড়ে ফেলতে পারলে বিএনপি নেত্রী বেগম নিজেই পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।”
বুধবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমী বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, “আমরা আগেও জানতাম সরকারকে উৎখাত এবং শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে অনেক ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত চলছে। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা সর্তক। ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে না। কারণ বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনা এক নন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করেননি, বাঙালি তাকে কোনো দিন হত্যা করবে। কিন্তু ৭৫’র ১৫ আগস্ট তার বিশ্বাস শেষ করে দিয়েছে একদল মুনাফেক। শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রকারী ও মোনাফেকদের ব্যাপারে সর্তক।”
ব্রাক্ষণবাড়িয়ার জনসভা থেকে বিএনপি নেত্রীকে শিক্ষা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, “এ জনসভায় লোক সমাগম হয়েছে। কিন্তু একদিন আগে হরতালে একটি নেতাকর্মীও মাঠে নামেনি। এতেই প্রমাণিত হয়, জনগণের কোনো দাবি ছিল না। হরতাল, জ্বালাও পোড়াওয়ের নেতিবাচক রাজনীতি ছেড়ে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসুন। অতীতের ভুল রাজনীতি ও দুর্নীতির জন্য ক্ষমা চান।”
বিএনপির নেত্রীর উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সরকারের বিরুদ্ধে দোষ ধরার আগে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করুন। আপনার নিজের নামে মামলা, দুই পুত্রের নামে মামলা। সেগুলো মোকাবিলা করে নির্দোষ প্রমাণ করেই অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুন।” শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা এটা বালখিল্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হানিফ বলেন, “বিএনপির নেত্রীর আদালতের ওপর আস্থা নেই। থাকলে বিনা কারণে বার বার মামলার তারিখ পিছিয়ে দিতেন না। এতে প্রমাণিত হয়, তার আদালতের ওপর আস্থা নেই, না হয় দুর্নীতিবাজ।”
সংগঠনের সভানেত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম এমপির সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, শাহে আলম মুরাদ, হোদায়েতুল ইসলাম স্বপন, জিএম আতিক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা।