ব্যাংকিং সেক্টরের নানা অনিয়ম নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিসগুলোতে মোট ৬৬৯টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৫৭৬টি অভিযোগ। অনিষ্পত্তি অবস্থায় রয়ে গেছে আরও ৯৩টি। শাখা পর্যায়ে ব্যাংক অভিযোগের শীর্ষে রয়েছে চট্টগ্রাম। এ শাখায় মোট ২৪৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে লিখিত আকারে ১৩৭টি ও টেলিফোনে প্রাপ্ত অভিযোগের সংখ্যা ১০৯টি। ১৮১টি অভিযোগ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সিলেট। যার ১১২টি টেলিফোনে ও ৬৯টি লিখিত অভিযোগ। ৫৩টি অভিযোগ নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে রংপুর। যার পুরোটাই লিখিত। চতুর্থ স্থানে আছে বরিশাল। অভিযোগ ৪৫টি। সব অভিযোগই লিখিত। ময়মনসিংহ পঞ্চম। অভিযোগ ৪৫টি। লিখিত। খুলনা ষষ্ঠ। ৪৩ অভিযোগের সবই লিখিত। সপ্তম বগুড়া ৪০টি। লিখিত ৩৫ ও টেলিফোনে ৫টি। রাজশাহী অষ্টম, ১৬, সবই লিখিত। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১১টি শাখার মধ্যে মতিঝিল ও সদরঘাট অফিসে কোন অভিযোগ জমা পড়েনি। টেলিফোনে গৃহীত অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- সাধারণ ব্যাংকিং, ঋণ ও অগ্রিম, কার্ড সংক্রান্ত, মোবাইল ব্যাংকিং, ট্রেড বিল সংক্রান্ত রেমিট্যান্স ও অন্যান্য এবং লিখিত আকারে গৃহীত অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- সাধারণ ব্যাংকিং, ঋণ ও অগ্রিম, কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং সংক্রান্ত, ট্রেড বিল সংক্রান্ত ও অন্যান্য অভিযোগ। সমপ্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রাহক স্বার্থ অভিযোগ কেন্দ্রের বার্ষিক প্রকাশনা উদ্বোধনে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, তাতে এসব অভিযোগ পাওয়া যায়। এফআইসিএসডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১১ সালের ২৮শে মার্চ থেকে চলতি বছরের ৩০শে জুন পর্যন্ত মোট ১০,৯৯০টি অভিযোগ গৃহীত হয়েছে। গৃহীত অভিযোগের মধ্যে ১০,৮০৫টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। অভিযোগ নিষ্পত্তির হার ৯৮.৩১%। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে মোট প্রাপ্ত ৪,৪৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৪,২৯১টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। প্রাপ্ত অভিযোগগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ট্রেড বিল সংক্রান্ত ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সাধারণ ব্যাংকিং সংক্রান্ত অভিযোগ। এছাড়া ঋণ ও অগ্রিম, রেমিট্যান্স, মোবাইল ব্যাংকিং ও ডেবিট/ক্রেডিট/এটিএম কার্ড সংক্রান্ত অভিযোগও রয়েছে। গেল অর্থবছরে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পাওয়া গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের বিরুদ্ধে এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানেও রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত দু’টি ব্যাংক যথাক্রমে জনতা ব্যাংক লিমিটেড ও অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ইসলামী ব্যাংকের বিরুদ্ধে। এর পরই রয়েছে প্রাইম, ব্র্যাক, মার্কেন্টাইল, প্রিমিয়ার ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।