প্রখ্যাত ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন আর নেই। বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি………..রাজিউন)। আবদুল মতিন দীর্ঘ দিন ধরে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯৫২’র ভাষা আন্দোলনে যুগান্তকারী ভূমিকার জন্য আবদুল মতিন বাংলাদেশের ইতিহাসে অবিস্মরনীয় হয়ে থাকবেন। বাংলাদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও তিনি গৌরবউজ্জল ভূমিকা পালন করেন।
ভাষা আন্দোলনের অন্যতম রূপকার জীবন সংগ্রামী আবদুল মতিনের জন্ম ১৯২৬ সালের ৩রা ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলায় এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে। তাঁর বাবার নাম আব্দুল জলিল এবং মায়ের নাম আমেনা খাতুন। ১৯৩০ সালে গ্রামের বাড়ি যমুনায় বিলীন হলে আবদুল জলিল জীবিকার সন্ধানে সপরিবারে ভারতের দার্জিলিংয়ে চলে যান। সেখানে জালাপাহারের ক্যান্টনমেন্টে সুপারভাইস স্টাফ হিসেবে চাকরি পান। ১৯৩৩ সালে আবদুল মতিনের বয়স যখন মাত্র ৮ বছর, তখন তার মায়ের মৃত্যু হয়। শিক্ষাজীবনে আবদুল মতিন বরাবরই কৃতিত্বের পরিচয় দেন। তিনি ছিলেন দল নিরপেক্ষ ইমেজের অধিকারী এক অনন্য ব্যক্তিত্ব।