ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার সকাল নয়টায় মারা গেছেন তিনি।
বিএসএমএমইউর পরিচালক আবদুল মজিদ ভূঁইয়া প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
প্রায় আড়াই মাস ধরে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন আবদুল মতিন। তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শোক প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরণোত্তর দেহ দান করেছেন আবদুল মতিন। এ ছাড়া সন্ধানীকে মরণোত্তর চক্ষু দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে গেছেন তিনি। বিষয়টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। মরণোত্তর দেহদানে ভাষা মতিনের স্ত্রী গুলবদন নেসা মনিকা ও মেয়ে মালিহা শোভনের সম্মতি রয়েছে।
ভাষা মতিনের ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘আমি আবদুল মতিন, পিতা-মৃত আবদুল জলিল, মাতা-মৃত আমেনা খাতুন স্বেচ্ছায় শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ অবস্থায় আমার মরণোত্তর দেহ বা লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের শিক্ষার্থীদের এনাটমি ফিজিওলজি ইত্যাদি শেখার কাজে লাগবে জেনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে দেহ সম্পূর্ণ এবং সন্ধানীকে চক্ষু দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে আমার স্ত্রী ও কন্যাদের সম্মতি রয়েছে। কাজেই মৃত্যুর পরে আমার মৃতদেহ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অর্পণ করার জন্য আমার স্ত্রী ও কন্যাদের নির্দেশ দিচ্ছি।’
বিএসএমএমইউ সূত্র জানিয়েছে, আবদুল মতিনের মরণোত্তর চক্ষু দানের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। তাঁর মরদেহ আজ বিএসএমএমইউতে রাখা হবে।