তুরস্কে কুর্দি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। এদিকে কুর্দি বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণের জন্য আরো কঠোর বল প্রয়োগের হুমকি দিয়েছে আংকারা সরকার। এদিকে সিরিয়ার সীমান্ত থেকে গোলাবর্ষণের আশংকায় তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় প্রায় ছয়টি শহরে কারফিউ বলবত করা হয়েছে।
তাকফিরি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আইএসআইএল’র হাতে সিরিয়ার সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত শহর কুবানির পতন ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার বিরুদ্ধ তুরস্কের কুর্দিরা এ বিক্ষোভ করেছে। তুরস্কের কুর্দি অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলীয় এবং দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতেই প্রধানত বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া, রাজধানী আংকারা এবং ইস্তাম্বুলেও বিক্ষোভ হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদানে গ্যাস ও পানি কামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। কুর্দি অধ্যুষিত তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর দিয়ারবাকিরে বিক্ষোভের সময় নিহত হয়েছে পাঁচ জন। পূর্বাঞ্চলীয় মুস প্রদেশের ভারতো শহরে ২৫ বছর বয়সী অন্তত একজন নিহত এবং ছয় জন আহত হয়েছে। এছাড়া, মারদিনে অন্তত তিন জন, সিরতে ২জন এবং ব্যাটম্যান শহরে ১জনসহ দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় অন্যান্য শহরেও কয়েকজন নিহত হয়েছে। এদিকে, তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এফকান আলা কুর্দি বিক্ষোভকারীরা নিজ দেশের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করছে বলে অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, সহিংসতাতে সহিংসতা দিয়ে মোকাবেলা করার অযৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি অবিলম্বে ত্যাগ করতে হবে এবং বিক্ষোভকারীদের রাজপথ ছাড়তে হবে।
তুরস্কের সীমান্তবর্তী কুবানি শহরটি দখলের জন্য প্রায় এক মাস ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল আইএসআইএল সন্ত্রাসীরা। শেষ পর্যন্ত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের কথিত বিমান হামলার মধ্যেই তারা সোমবার রাতে এ শহরের বিরাট অংশের দখল নিয়েছে। আর এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে কুর্দিরা বিক্ষোভ করেছে।
এদিকে সিরিয়ার সীমান্ত থেকে গোলাবর্ষণের আশংকায় তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় প্রায় ছয়টি শহরে কারফিউ বলবত করা হয়েছে।