বরিশালে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের গাড়িবহরে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক হাওলাদারসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার তেমহনী চত্বর এলাকায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন ঢাকা মহানগর যুবদলের সদস্য এম এ হক, ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সদস্য ইকবাল খান ও মারুফ হোসেন, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য মাহবুব হোসেন এবং মোহাম্মদ হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া বাজার এলাকায় ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক হাওলাদার। পরে তিনি কর্মীদের নিয়ে মোটরসাইকেলে করে উপজেলা শহরের বাসায় ফিরছিলেন। পথে তেমহনী চত্বর এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিল ব্যাপারীর নেতৃত্বে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা চালান।
আবদুল খালেক হাওলাদার অভিযোগ করেন, ‘পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওই হামলা চালান। হামলায় আমার সঙ্গে থাকা ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নীরব হোসেন ব্যাপারী বলেন, তেমহনী চত্বর এলাকা দিয়ে খালেক হাওলাদার মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের উদ্দেশে কটূক্তি করে। এ নিয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।