বাংলা ভাষার ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে তার নাম। পরিচিতি পেয়েছিলেন ভাষা মতিন নামে। বুধবার অবসান হয় ভাষা আন্দোলনের সেই অন্যতম সংগঠক আব্দুল মতিনের ৮৮ বছরের বর্ণিল জীবনের। আজ বেলা ১২টার পর মতিনের মরদেহ বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল থেকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যালের সামনে আমতলায়, যেখানে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার মিছিলে পাকিস্তানি শাসকদের নির্দেশে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকে তার কফিন নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ফুলে ফুলে মোড়ানো অ্যাম্বুলেন্সের পাশ দিয়ে হেঁটে শহীদ মিনারে পৌঁছান তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা। তার আগেই বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হন আজীবন সংগ্রামী আবদুল মতিনকে শ্রদ্ধা জানাতে। প্রথমে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের পক্ষ থেকে এবং এরপর ব্যারিস্টার রফিক-উল হকসহ কয়েকজন আইনজীবী এই ভাষা সৈনিকের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে ফুল দেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ উল আলম লেনিন। এরপর নানা-শ্রেণী পেশার মানুষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তার প্রতি। লাইফ সাপোর্টে দেয়ার আগে নিজের চোখ সন্ধানীকে দেয়ার ঘোষণা দেন আবদুল মতিন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে মরণোত্তর দেহ দান করার ঘোষণা দিয়ে যান তিনি।