স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, দেশে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স কাজ করছে। জঙ্গি অর্থায়নের উৎস সামনে রাখা উচিত। সে লক্ষ্যে টাস্কফোর্স কাজ করছে।
দুবাই থেকে বাংলাদেশ ঘুরে টাকা বর্ধমানে শীর্ষক একটি প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার ভারতের আনন্দ বাজার পত্রিকা প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, আনন্দবাজার পত্রিকার খবরের বিষয়টি আমি জানি না। আমরা সব খবর গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সারদা কেলেঙ্কারি জামায়াতে ইসলামীর সম্পৃক্ততা এবং বর্ধমানে দুই বাংলাদেশির সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সারদা কেলেঙ্কারির কাগজপত্র ভারতের কাছে চেয়েছি। কাগজ হাতে পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের ভূমি কোনোভাবেই জঙ্গিদর তৎপরতায় ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার পত্রিকা ‘জাল গড়াল আরব দেশেও দুবাই থেকে বাংলাদেশ ঘুরে টাকা বর্ধমানে’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্ধমান বিস্ফোরণের জিহাদি-নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে আছে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের দুবাইয়েও। এ বার এমনই সূত্র হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। খাগড়াগড়ের তদন্তে প্রায় প্রতিদিনই এখন নতুন নতুন জায়গার নাম উঠে আসছে রাজ্যের অন্যত্র, রাজ্যের বাইরে। দেশেরও বাইরে।
তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, খাগড়াগড়ের হাসান চৌধুরীর বাড়ির দোতলায় যে সব পুরুষ ও মহিলা আইইডি (ইম্প্রোভাইজ্ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বানাত, তাদের নিয়মিত মাসোহারার বন্দোবস্ত ছিল। এবং সেই টাকা বাংলাদেশি কিছু ব্যবসায়ীর দৌলতে হাওয়ালার মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাই থেকে বাংলাদেশ হয়ে বর্ধমানে পৌঁছাত। গোয়েন্দাদের ধারণা, আইইডি তৈরির জন্য মালমশলা, রাসায়নিক ও অন্য সরঞ্জাম কেনার প্রয়োজনীয় অর্থও বিদেশ থেকে এসেছে।
আবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবি সূত্রের খবর, শুধু বাংলাদেশ নয়, নামনি অসম থেকেও নিয়মিত লোকজন আসত খাগড়াগড়ে। মূলত কোকরাঝোড়, বরপেটা থেকে লোক এসে প্রশিক্ষণ দিত শাকিলের সঙ্গীদের। জিহাদ নিয়ে মগজধোলাই করত।
এর আগে গত ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় দুইজন নিহত হন, যারা নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) একটি শাখার সদস্য বলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিস্ফোরণের পর গ্রেফতার দুই নারীর একজন নিরাপত্তা বাহিনীকে জানিয়েছেন, তারা গত তিন মাসে চার দফা বাহকের মাধ্যমে বাংলাদেশে বোমা পাঠিয়েছেন। ওই দিনও বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য বোমা বানাতে গিয়েই বিস্ফোরণ ঘটে।