পৃথিবীতে এখনও প্রত্নতত্ত্ববিদরা ডাইনোসরের ফসিল খুঁজে ফেরেন। সেই অতিকায় প্রাণীর পায়ের ছাপ শিজরণ সৃষ্টি করে। তবে ক্রিকেট দুনিয়াতে ছোটখাটো মানুষ হলেও ২৪ বছর ধরে যে কীর্তি করেছেন তা ডাইনোসরের আকারই ধারণ করেছে। ব্যাট হাতে জাদু দেখিয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে করেছেন ‘সেঞ্চুরি’র সেঞ্চুরি। আর সেই জাদুকরি হাতের ছাপতো আজ থেকে শ’ শ’ বছর পরও থাকবে ভীষণ মূল্যবান। আর সেই মূল্যবান সম্পদটি গতকাল সংরক্ষণ করে রেখেছেন শচীনের বাংলাদেশী বন্ধু ক্রিকেট সংগঠক লুৎফর রহমান বাদল। হোটেল সোনারগাঁওয়ে আলোকিত অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য শচীন তার হাতের ছাপ রেখে যান। আর সেই ছাপের উপর স্বাক্ষরও করেন। গতকাল রূপগঞ্জ থেকে ফিরে বিকাল চারটায় মূল অনুষ্ঠান কক্ষে আসেন শচীন। শুরুতেই বক্তব্য রাখেন ‘লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের’ কর্ণধার লুৎফর রহমান। অনুষ্ঠানে ক্রিকেট সংগঠক হিসেবে সফল লুৎফর রহমান বাদলের প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়। ছোটবেলায় বড় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখা বাদল শেষ পর্যন্ত না হতে পেরে বেছে নিয়েছেন ক্রিকেট সংগঠক হওয়ার পথ। তার সেই পথচলাই তুলে ধরা হয় সেই প্রামাণ্যচিত্রে। এরপরই শুরু হয় শচীনের লিজেন্ড হয়ে ওঠা নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র। সেখানে শচীনের ছোটবেলা থেকে শুরু করে সবকিছু ফুটিয়ে তোলা হয়। এরপর শচীনের ক্রিকেটের আলোকিত জীবনকে তুলে ধরা হয় লেজারশোর মাধ্যমে। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে শচীনের হাতে তুলে দেয়া হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্য নক্শী কাঁথাও। শচীন এসেছিলেন সবার মন জয় করতে। শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাশে থেকে শচীন সেই মন যেন ছিনিয়েই নিয়ে গেলেন।