আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা, থেকেঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মিথ্যা অভিযোগ এনে থানায় সাধারন ডাইরী করার প্রতিবাদে আজ বুধবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে সরদার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. লুৎফর রহমান আকন্দ বলেন, গত ২১/০৫/২০১৪ তারিখে অঞ্জলী রানী ময়নার অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে আমরা দুঃক্ষিত ও মর্মাহত। তার মৃত্যুতে দায়ের করা মামলার এজাহারে আমাদেরকে আসামী করা হয়। যা অত্যন্ত দুঃখ জনক। তার পরেও আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এজন্য সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে আদালতে আত্বসমার্úন করলে বিজ্ঞ আদালত আমাদের জামিনে মুক্তি দেয়। কিন্তু একটি কুচক্রি মহল আবারো ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে মিথ্যা অভিযোগ এনে থানায় সাধারন ডাইরী করা হয়। ডাইরীতে উল্লেখ করা হয় আমরা জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদীকে প্রান নাশ সহ বিভিন্ন হুমকী ধামকী দিয়েছি মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রচার করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। লুৎফর রহমান আরো বলেন, একটি চক্র তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থের লক্ষে এবং মাদক ব্যবসা নির্বিঘœ করার জন্য আমি ও আমাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সাধারণ ডাইরী করাসহ মিথ্যা প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। এ সকল বানোয়াট, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, অসত্য প্রচারনার বিরুদ্ধে আপনাদের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার কামনা করছি।
লুৎফর রহমান বলেন, গত ২১/০৫/২০১৪ সময় আনুমানিক সকাল ১১ ঘটিকা সরদার হাট দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের স্থান সুনির্দিষ্ট করণের লক্ষ্যে বিজ্ঞ ম্যানেজিং কমিটি এবং স্থানীয় গন্যমান্য বক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একজন সার্ভেয়ার প্রতিষ্ঠানের সীমানা নির্ধারণ করছিলেন। এমতাবস্থায় সাস্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার লক্ষ্যে একটি কুচক্রি মহল নিত্য, নরেশ ও রতনের নেতৃত্বে সশস্ত্র অবস্থায় আক্রমণ করলে উক্ত কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে আহত হয়। ফলে বিষয়টি উপস্থিত জনতার মাঝে খোভের সঞ্চার হলে তারা অবৈধভাবে বাধাদান কারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় কে বা কার আঘাতে অঞ্জলী রানী ময়না আঘাত প্রাপ্ত হলে তার চিকিৎসার জন্য গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলে অতি উৎসাহি অভিভাবকদের পীড়া পীড়িতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতাল হতে বগুড়া মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরণের সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত ছারপত্রে উল্লেখ করা হয় রোগীর শরীরে সামান্য সাধারণ ক্ষত রয়েছে। অতি সাধারণ ক্ষতে একজর রোগী হাসপাতালে নেয়ার পথে কিভাবে মৃত্যু বরণ করে তা বোধগম্য নহে। যা প্রশ্নবিদ্ধও বটে। তিনি বলেন, উল্লেখিত তারিখের প্রতিষ্ঠানের এহেন মহৎ কাজটিতে বাধাদানকারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক ব্যবসার সহিত জরিত (উক্ত মামলার বাদি নিত্যর মাদক মামলা নং- ০৫/১০৭ তারিখ- ০৫/০৪/২০১২ইং) অত্র অঞ্চলের উঠতি বয়সের মানুষেরা মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ায় এলাকার সামাজিক পরিবেশ সাংঘাতিক ভাবে বিঘিœত হচ্ছিল। এ প্রেক্ষিতে এলাকার সার্বিক স্বার্থে অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিসহ সমাজের সচেতন ব্যক্তিবর্গ তাদের অবৈধ কার্যকলাপে বাধা দিয়ে আসছিল। এরই প্রতিশোধ গ্রহণে কুচক্রি মহলটি তৎপর হয়ে ওঠে এবং নির্দোষ ব্যক্তিবর্গকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে যা ভৌতিক, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। কেননা এজাহারে উল্লেখিত ১৩ নং আসামী মৃত আবুল কালাম আজাদ উক্ত ঘটনার প্রায় ২ মাস পূর্বেই মৃত্যু বরণ করেন এবং ১২নং আসমীগোবিন্দগঞ্জ মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ ফিরোজ খানুন ঘটনার সময় কলেজে উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপন্থিত ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন, সাধারন সম্পাদক প্রধান আতাউর রহমান বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া ইসলাম জুয়েল, সহকারী অধ্যাপক মো. ফিরোজ খানুন, মো. আব্দুল আজিজ সরকার প্রমুখ।