প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিদেশে দেশের ভাবমূর্তী ও মর্যাদা উজ্জ্বল করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদেরকে বাংলাদেশের অর্থনীতি জোরদার এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মতাদর্শগত মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে আরও অবদান রাখারও আহ্বান জানান তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা ইতালির মিলানে মিলানোফিরোরিন হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক গণসংবর্ধনা দেন। আওয়ামী লীগের ইতালি শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এ গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য বিভিন্নভাবে প্রবাসী বাংলাদেশীরা অবদান রাখছেন। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে।
মহান স্বাধীনতার যুদ্ধ এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তাদের অসামান্য অবদান দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র যখনই কোন সংকটে পড়েছে তখনই প্রবাসী বাংলাদেশীরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ড ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করেছে। বিএনপি-জামায়াতের দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও অর্থ পাচারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই অপশক্তি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশে সীমাহিন দুর্নীতি, ব্যাপক অর্থ পাচার, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের রাজত্ব কায়েম করেছে। গত ৫ই জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন প্রতিহত করতে দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সারাদেশে পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যসহ মানুষ খুন করেছে, রেলওয়ের ফিসপ্লেট উপড়ে ফেলেছে, বাস, ট্রেন, পবিত্র কোরআন ও মসজিদে আগুন দিয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৭১’র পরাজিত শক্তি ৭৫’র পর জাতির জনকের হত্যাকারীদের বিভিন্নভাবে পুরষ্কৃত এবং রাজনীতিতে পুনর্বাসন করে বাংলাদেশকে ‘হত্যাকারীদের দেশে’ পরিণত করেছিল। সামরিক একনায়ক জিয়াউর রহমান এবং পরবর্তীতে এরশাদ ও খালেদা জিয়া হত্যাকারীদের এমপি ও জাতীয় সংসদের বিরোধী নেতা করেন এবং বিদেশি বিভিন্ন মিশনে তাদের নিয়োগ দিয়েছিলেন।