সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দরকার বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পরমাণু বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালাম। তিনি বলেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি যত বাড়বে ওই দেশের সন্ত্রাসী কর্মকা- তত হ্রাস পাবে। মানুষ হতাশা আর অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাতেও সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ে। শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) ১১০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এমসিসিআই‘র সভাপতি রোকেয়া আফজাল রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গহর রিজভী, এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, ডিসিসিআই সভাপতি শাহাজাহান খান প্রমুখ।
বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসের যে ঝুঁকি তা দূর করতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়ে এপিজে আবদুল কালাম বলেন, দরিদ্রতা না থাকলে সন্ত্রাসের প্রবণতাও কমে আসবে। আর দরিদ্রতা থাকলে সন্ত্রাসের প্রকোপ বেড়ে যায়। তিনি বলেন, কি জন্য সন্ত্রাসী কর্মকা- বাড়ছে আগে সেটা চিহ্নিত করতে হবে। তারপর সে অনুযায়ী কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। আর এক্ষেত্রে প্রয়োজন অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
ভারত ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বাণিজ্যের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। যেসব প্রতিবন্ধতার জন্য বাণিজ্য বাড়ছে না তা আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান করা প্রয়োজন। বর্তমানে বাংলাদেশের ১৫ শতাংশ আমদানি আসে ভারত থেকে। প্রতি বছর দুই দেশের মধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য হয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এ বাণিজ্য ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশিও হওয়া সম্ভব। এ বাণিজ্য হলে দুই দেশই লাভবান হবে।
ড. এপিজে আবদুল কালাম বলেন, বিশ্ব থেকে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার নিরসন করে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করতে পারে। কারণ পাট উৎপাদনে বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ভারতের পাট শিল্পও সম্ভাবনময়ী। এ বিষয়ে দুই দেশের বেসরকারি এগিয়ে আসতে পারে। তবে এ নিয়ে কোন ভিশন, মিশন ও ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেন আবদুল কালাম।