শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, জাতীয় সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে কারিগরি শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ শিক্ষার্থীকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।
রাজধানীর কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে শনিবার বিদ্যমান দক্ষতা ও সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিতকরণ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ জানান, শিক্ষা জাতীয় অগ্রাধিকার খাত। এর মধ্যে কারিগরি উপখাত হলো আরও প্রয়োজনীয়। কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, জাপান, ইউরোপীয় দেশসমূহে কারিগরি শিক্ষার্থীর হার শতকার ৫০ ভাগের উপরে। ২০০৯ সালে আমাদের দেশে এ হার ছিল শতকরা ১ ভাগ। বর্তমানে তা শতকরা ৮ ভাগে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র বিএ বা এম এ পাস করলেই হবে না, জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করবে এরূপ কর্মমুখী জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মকে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করা সম্ভব।
শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, পূর্বে কারিগরি উপখাতে কোনো প্রকল্প না থাকলেও ইতোমধ্যে এ খাতে চারটি প্রকল্প রয়েছে। এ সব প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন, অবকাঠামো, শ্রেণীকক্ষ উন্নতকরণসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান, ১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, ২৫৬টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমসহ বেশ কিছু কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সরকার শিল্প-কারখানার মালিক, বিনিয়োগকারী ও বিদেশী বাজারের চাহিদা নিরূপণ করে যুগোপযোগী সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে।