রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ৮টি ইউনিটে মোট ১,৬৬,৭৬৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে এবং প্রতি আসনের জন্য ৪৩ জন শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এ বছর ৮টি অনুষদের অধীনে ৫০টি বিভাগে ৩৮২৮ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হবে। এ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা পুত্র/কন্য, শারিরিক প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।রোববার সকাল ৯টায় এইচ ইউনিটের বেজোড় রোলধারীদের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আটটি ইউনিটের অধীনে এ পরীক্ষা শুরু হলো।রোবববার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত একই ইউনিটের জোড় রোল নম্বরধারীদের পরীক্ষা নেয়া হবে।
দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সি ইউনিটের বেজোড় রোল নম্বরধারীদের ও বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একই ইউনিটের জোড় রোল নম্বরধারীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। আটটি ইউনিটের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা চলবে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে পুরো ক্যাম্পাসে ছয় স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি ও রোভার স্কাউটসের সদস্যরা নিরপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। পরীক্ষা চলাকালে ক্যাম্পাসে থাকছে ট্রাফিক আইন জারি
এছাড়া জালিয়াতি ঠেকাতে পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোনসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস (যেমন-ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, হেডফোন) ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরীক্ষার কক্ষে শিক্ষার্থীরা কাপড় বা অন্য কোনোভাবে কান ঢেকে রাখতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি এড়াতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর, ভবন ও পরীক্ষার সময় উল্লেখ্য করে নোটিশ বোর্ড দেয়া হয়েছে। পরীক্ষার ভবন চিনতে অসুবিধে না হয় সে জন্য ক্যাম্পাসের প্রতিটি মোড়ে নির্দেশনা বোর্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের ৬টি গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় খোলা হয়েছে তথ্যকেন্দ্র।পরীক্ষায় আইন-শৃংখলা ভঙ্গ ও পরীক্ষায় জালিয়াতির শাস্তি দিতে প্রথমবারের মত ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমান আদালত কাজ করছে। আজ থেকে আগামী ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে এ ভ্রাম্যমান আদালত কাজ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ছাদেকুল আরেফিন মাতিন বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসের সকল প্রকার কম্পিউটার কম্পোজ, ফটোকপি দোকান বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। আমরা আশা করছি পুলিশ প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কোন প্রকার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ছাড়াই ভালভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারব।