রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি দায়ে এক শিক্ষার্থীকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জালিয়াতির দায়ে অপর দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের লিচু তলায় অবস্থিত পুলিশ কন্ট্রোল রুমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এসব শাস্তি দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এমএম সামিরুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তর সূত্র জানা যায়, মাসুদ রানার প্রবেশপত্র ব্যবহরা করে রাবির হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী দেবাষিশ কর্মকার ‘ডি’ (ব্যবসায় অনুষদ) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় চার্চিল নামের এক ভর্তিচ্ছুকে সহায়তা করছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বিজ্ঞান ভবনের একটি হলে তারা পরীক্ষা দিচ্ছিল। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই কক্ষের পরিদর্শক তাদেরকে প্রক্ট্ররিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করেন। এক বছরের সাজা প্রাপ্ত দেবাষিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলের ৩০০ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ওই হলের ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলেও হল সূত্রে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৯৮০ সালের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ৩ নম্বর ধারায় এক বছরের কারাদন্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। এ ঘটনায় চার্চিলের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে নিয়মিত আদালতে মামলা করতেও নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে শাহরিয়ার শান্ত নামের বগুড়ার এক ভর্তিচ্ছু ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করে শহিদুল্লাহ কলা ভবনের ৪০২ নম্বর কক্ষে ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা দিচ্ছিলো। এসময় ওই কক্ষের পরিদর্শক বিষয়টি বুঝতে পেরে তার পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র (ওএমআর সিট) বাতিল করে তাকে প্রক্ট্ররিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে প্রচলিত আইনে নিয়মিত আদালতে মামলা করতে নির্দেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তারিকুল হাসান বলেন, ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয়া শাহরিয়ারকে সাহায্য করেছে এডমিশন প্লাস কোচিং-এর বগুড়া শাখার তুহিন নামের একজন পরিচালক । আমরা এই জালিয়াতি চক্রকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া অপর দুই শিক্ষার্থীর পেছনে কোন জালিয়াতি চক্র জড়িত রয়েছে সে বিষয়েও খোঁজ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তারিকুল হাসান আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেবাষিশ কর্মকাকে বহিস্কার করা হবে কি না সে বিষয়ে পরবর্তীতে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।