মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান , দিনাজপুর ।
মহান আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন , একটা নির্দিষ্ট সময়ের টিকিট হাতে দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন এই দুনিয়াতে । আরেই রিটার্ন টিকিটের ডেট আরো জানা নেয় । তাই এইটা যে কোন সময় হতে পারে । যেতে হবে সেয় পরপারে । পরকালে জিবনের সমস্ত কৃত কাজ কর্মের হিসাব দিতে হবে সবাই কে । দুনিয়াতে কোন হিসাব নিকাশ করার বা বিচার করার জন্যে একটা পরিবেশ করা হয়ে থাকে । তেমনি কিয়ামতে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা হবে যা অত্যন্ত ভয়াবহ একটা পরিবেশ । খোলা আকাশের নিচে , সুর্য তার তীব্রতা বাড়িয়ে মাত্র আধ হাত মাথার উপর অবস্থান করবে । মানুষ তার পাপ অনুযায়ী নিজের ঘামে নিমজ্জিত হতে থাকবে , কেউ মাথা পর্যন্ত , কেউ কাধ , কেউ কমর আর কেউ পা পর্যন্ত নিমজ্জিত হতে থাকবে । আর এই প্রচন্ড সুর্যের তাপ থেকে মুক্তির বিকল্প কোন ছায়া থাকবে না আরশের ছায়া ব্যতিত। এই আরশের ছায়া ও আবার সবাই পাবে না , এটারো রয়েছে বর্ননা । মাত্র সাত শ্রেনীর লোক এই ছায়ার অধিকারি হতে পারবে । যারা আল্লাহকে ভয় করে , পাপ থকে মুক্ত থেকে দুনিয়ার জীবন পার করেছে । তাদের ই ভাগ্য সহায় হবে , পাবে আরশের ছায়া । আর এই সাত শ্রেনীর মানুষ যারা হবে তারা হলোঃ
১। ন্যায় পরায়ন শাষকঃ সেই শাষক যে কোরআন ও হাদিস অনুসারে প্রজার অধিকার নিশ্চিত করে দেশ পরিচালনা করে , তারাই হবেন এই সাত শ্রেনীর প্রথম শ্রেনিতে ।
২। ঐ যুবক যে আল্লাহর ইবাদতে মুশগুল থেকে বড় হয়ঃ যৈবন মানুষএর জীবনের সবচেয়ে মুল্যবান সময় । এই সময় মানুষ যে কোন দিকে ভাবিত হতে পারে । আর এই সময়ে যে আল্লাহর ইবাদত করবে , সেই এই ছায়ার নিচে আস্রায় পাবে ।
৩।সে ব্যক্তি যার অন্তর টা মসজিদের সাথে ঝুলে থাকে । যার মনে হলো তার মন ব্যাকুল থাকে মসজিদে যায়ার জন্যে । সে এক নামাজ পরে অন্য নামাজের জন্যে মসজিদে যায়ার আকাংখা প্রশন করবে অন্তরে ।
৪। সেই দুই ব্যাক্তি যারা শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যেই মিলিত হয় ( বন্ধু ) এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যেই বিছিন্ন হয় । যাদের বন্ধুত্ত ও শত্রুতা শুধু আল্লাহর জনে । তারাই পাবে এই সুখকর জায়গা ।
৫। যে ব্যক্তিকে কোন অভিজাত ও সুন্দরি রমনি আহবান করে ( ব্যভিচারের জন্য) এবং সে ব্যক্তি তা প্রত্যক্ষান করে বল , আমি আল্লাহকে ভয় করি । সেই ব্যক্তিই পাবে আরশের ছায়া ।
৬। যে ব্যক্তি এতটা গোপঅনে দান করে যে , তার ডান হাত কি দান করে বাম হাত যানে না । তার মনে সে শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জনের জন্যেই দান করে , মানুষের কাছে দাতা সাজার জন্যে নয় ।
৭। আর যে ব্যক্তি গোপনে আল্লাহকে স্বরন করে এবং অশ্রু পাত করে । তার অর্থ হলো সে গোপনে আল্লহকে স্বরন করে নিজের পাপ ক্ষমার জন্যে চোখের পানি বের করে । ( বোখারি ও মুসলিম)
আমরা সেই দিনের অনুভুতি সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করি । আর সেই দিন ফাকি দিয়ে পার হয়ার কোন সুযোগ নাই । প্রচণ্ড উত্তাপ সহ্য করার ও কারো ক্ষমতা নেই । তাই এই সাত শ্রেনীর মধ্যে স্থান নেয়ার জন্য জীবনের মুল্যবান সুযোগ গুলো কাছে লাগায় । প্রাণ পাখি টা চলে গেলেই আর কিছু করার থাকবে না আমাদের । পরকারের পাথেয় সংগ্রহে আমরা যেন সফল হই । আল্লাহ আমাদের সেই তৌওফিক দান করুন। আমীন।