একজন মহাপরিচালকসহ সংস্থাটির নয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার কমিশনের মাসিক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সংস্থাটির উপ-পরিচালক জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি কমিটি করে সনদ যাচাইয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সমপ্রতি সচিবদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির অনুসন্ধান করেছেন জুলফিকার আলী। এ বিষয়ে দুদকের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যারা মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন, তাদের সনদ যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। দুদকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়ার তালিকায় আছেন সংস্থাটির আইন শাখার মহাপরিচালক কামাল হোসেন মোল্লা, পরিচালক গোলাম ইয়াহিয়া, আবদুল আজিজ ভূঁইয়া, উপ-পরিচালক ঢালী আবদুস সামাদ, এস এম গোলাম মাওলা সিদ্দিকী, সাবেক উপ-পরিচালক রঞ্জন কুমার মজুমদার, সহকারী পরিদর্শক আবদুস সোবহান, কোর্ট সহকারী (এএসআই) নুরুল ইসলাম ও ইসহাক ফকির। দুদক সূত্র জানায়, এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে সনদ নিয়ে চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে আইন বিভাগের মহাপরিচালক কামরুল হোসেন মোল্লা ও পরিচালক গোলাম ইয়াহিয়া অসত্য তথ্য প্রদান ও জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণ করেছেন বলে প্রাথমিক প্রমাণাদি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গোলাম ইয়াহিয়া চাকরির প্রচলিত বয়সসীমা শেষে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারের দেয়া সুবিধা অনুযায়ী এক বছর অতিরিক্ত সময় চাকরি করেছেন।