এনায়েত মজুমদার,চাঁদপুর প্রতিনিধি-
হাসপাতাল ভাংচুর, ডাক্তার ও কর্মচারীদের মারধর করা এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের ডাক্তারদের কর্মবিরতী চলছে। কর্মবিরতী চলার কারনে হাসপাতালে রোগীদের র্দীঘলাইন ও চিকিৎসা নিতে আসা সাধারন রোগীদের মাঝে বিরুপ পতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই চিকিৎসা না নিতে পেরে হতাশা নিয়ে বাড়ী ফিরছেন, আবার কেউ কেউ হাসপাতালের ডাক্তারদের গাল-মন্দ দিচ্ছেন। ডাক্তারদের কর্মবিরতী চলার কারনে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের চলে যেতে দেখা যায়।
চাঁদপুর কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সফিউল আলম জানান, হামলাকারীদের আজ শুক্রবারের মধ্যে গ্রেপ্তার বা বিচার না করা পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতী অব্যাহত থাকবে। তবে আগামী কাল শনিবার নতুন কর্মসূচী দেয়া হবে।
উল্লেখ্য-বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় চাঁদপুর নতুন বাজার গুণরাজদী এলাকার মজিব ভূঁইয়ার দুবছরের শিশুসন্তান সিয়াম পানিতে পড়ে যায়। তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্যে চাঁদপুর আড়াইশ’ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। আত্মীয়-স্বজনরা সিয়ামের লাশ দাফনের জন্যে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় সিয়ামের মুখ দিয়ে লালা পড়তে দেখে সে জীবিত রয়েছে বলে তার আত্মীয়-স্বজনরা অনুমান করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ব্যাপক ভাংচুর করে ও কর্তব্যরত কর্মচারীদের মারধর করে আহত করে। এতে মারাত্মক ভাবে ৪ জন আহত হয়। আহতরা হলেন আজমত উল্যাহ (৫৯), মফিজ পাটওয়ারী (৪৫), সাদেক আলী (৩৮) ও সালামত উল্যাহ।
এর পর বৃহস্পতিবার দুুপুর ১২টা থেকেই হাসপাতালে ডাক্তার ও কর্মচারীদের কর্মবিরতীর ঘোষনা দেয়া হয়।