কলকাতায় ভারতের প্রথম মৎস্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি নাগাদ এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মাছের দেহে যে কোন ধরনের অস্বাভাবিকতা ও রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসা করা হবে ব্যতিক্রমী এ হাসপাতালে। দেশটির এক জ্যেষ্ঠ মৎস্য বিজ্ঞানী ও গবেষক টি জে আব্রাহাম এ তথ্য দিয়েছেন। হাসপাতাল প্রকল্পটির নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। হাসপাতালটিতে কাঁচের ৫০টি বড় আকারের অ্যাকুরিয়াম থাকবে, প্রতিটি ৫০০ লিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ২৫টি গোলাকার পানির ট্যাংক থাকবে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া রোগগ্রস্ত মাছগুলোর চিকিৎসা করা হবে সেখানে। নানা চিকিৎসা সরঞ্জামসহ পৃথক একটি প্যাথলজিকল ল্যাবরেটরিও থাকবে। সেখানে মাছের রোগ নির্ণয় করা হবে। আব্রাহাম জানান, মৎস্য হাসপাতালটির সামগ্রিক নির্মাণ কাজে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ রুপি ব্যয় হবে। তিনি জানিয়েছেন, এ প্রকল্পের ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। তিনি জানান, ভারতে মাছের ৬০ থেকে ৬৫ ধরনের রোগ বা অস্বাভাবিকতা পাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গ প্রধান যে একটি কারণে মৎস্য উৎপাদন ও সরবরাহের দিক থেকে এক নম্বর অবস্থান থেকে নিচে নেমে গেছে, সেটি হলো তাদের উৎপাদনকৃত মাছের ১০ থেকে ২০ শতাংশই নানা রোগে মারা যায়। আব্রাহাম বলেন, বিদেশে এ ধরনের হাসপাতাল অহরহ রয়েছে। তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটি মৃত্যুহার কমিয়ে মাছের উৎপাদন বাড়াতেই শুধু মৎস্য খামারি বা মাছ চাষিদের সাহায্য করবে না, মানুষের ভাল মাছ খাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করবে।