ক্ষমতায় বসার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাতে সাংবাদিকদের চমকে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দীপাবলী উৎসব-পরবর্তী ‘দেওয়ালি মিলন’ নামের ওই অনুষ্ঠানে হঠাৎ তিনি ফটোগ্রাফার বনে গেছেন।
এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাজধানী নয়াদিল্লিতে গতকাল শনিবার ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় মোদি সাংবাদিকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্যসহ বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ ও দলের একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেওয়ার পর মঞ্চ থেকে হেঁটে নিচে নামেন মোদি। অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে যান তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশটির সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলের শীর্ষস্থানীয় সম্পাদক, প্রতিবেদকেরা। প্রধানমন্ত্রী একেক করে তাঁদের সম্ভাষণ জানান।
মোদি একপর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়ের ভেতরে যান। এ সময় কিছুসংখ্যক উৎসাহী সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ‘সেলফি’ তুলতে শুরু করেন। তিনি কাউকেই হতাশ করেননি। সেরা ছবিটি তুলতে আগ্রহী প্রত্যেকের জন্য ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করেছেন তিনি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ, সম্ভাষণ, সেলফিসহ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি পদক্ষেপই ক্যামেরাবন্দী করছিলেন বিজেপির অফিশিয়াল ক্যামেরাম্যান অজয় কুমার সিং। হুড়োহুড়ি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীকে ক্যামেরার ফ্রেমে রাখতে ভুল করেননি অজয়। হঠাৎ করে সবাইকে চমকে দেন মোদি। তিনি ক্যামেরাম্যান অজয়কে কিছু একটা বলেন। পরক্ষণেই ক্যামেরাটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন অজয়। দক্ষতার সঙ্গে ক্যামেরাটি নিয়ে অজয়ের একটি ছবি তোলেন মোদি। পরে অজয়ের কাছে ক্যামেরাটি ফিরিয়ে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
এনডিটিভিকে অজয় বলেন, ‘দীপাবলীতে এটা আমার জন্য এক বড় বিস্ময়। তিনি (মোদি) আমার একটি চমৎকার ছবি তুলেছেন। আমি ছবিটি বাঁধাই করে আমার ঘরে তুলে রাখব।’
পরে প্রধানমন্ত্রী অজয়ের সঙ্গে একটি ছবিও তোলেন।
ওই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মোদি বলেন, তিনি দেশের গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চান। গণমাধ্যমের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ আরও বাড়ানো যায়, তার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।
গণমাধ্যমের প্রশংসা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমের সঙ্গে যখন কথা বলি, তখন শুধু যে তথ্য পাই তা নয়, আমি দূরদৃষ্টির সন্ধান পাই।’